সুমন গুপ্ত
সুমন গুপ্ত একজন বিশিষ্ট ভারতীয় লেখক, গবেষক, এবং সাংস্কৃতিক বিশ্লেষক, যিনি বাংলা সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত এবং ধর্মীয় সংস্কৃতির উপর গভীর গবেষণা করেছেন। তাঁর লেখার মধ্যে বিশাল অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রতিফলিত হয়, যা পাঠকদের মাঝে নতুন ভাবনা এবং ধারণা সৃষ্টি করে। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন। সুমন গুপ্তর বিশেষত্ব হল তাঁর জীবনের গবেষণা এবং কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বদের অন্তরঙ্গ জীবন নিয়ে লেখা। "কিংবদন্তি মহানায়িকার আশ্চর্য জীবনকথা সুচিত্রা সেন" বইটি তিনি সুচিত্রা সেনের জীবন কাহিনী এবং চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান নিয়ে একটি সুনিপুণ বিশ্লেষণ করেছেন। এই বইটি সুচিত্রা সেনের ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবনকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছে, যা পাঠকদের আরও কাছ থেকে সুচিত্রা সেনকে জানার সুযোগ দেয়। "গ্ল্যামার, কিংবদন্তি সঙ্গীত সাধকের অন্তরঙ্গ জীবনকথা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়" বইটিতেও সুমন গুপ্ত সঙ্গীত জগতে এক কিংবদন্তি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও সঙ্গীতের অজানা দিক তুলে ধরেছেন। এই বইটি শুধু হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত কীর্তি নয়, তার ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং সৃজনশীলতার গভীরতা নিয়ে আলোচনা করেছে। তার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ "বাংলাদেশের জাগ্রত মন্দিরে মন্দিরে" বইটি, যেখানে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরের ধর্মীয় গুরুত্ব এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। এই বইটি বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য চিত্র প্রদর্শন করে। সুমন গুপ্তর অন্যান্য কাজগুলোর মধ্যে "কত কী রয়েছে লেখা", "কেদার বদ্রীর মহাতীর্থ পথে", এবং "বৃন্দাবনের কৃষ্ণ দ্বারকার কৃষ্ণ" বইগুলিও উল্লেখযোগ্য। এই সব বইয়ে তিনি ধর্মীয় তীর্থযাত্রা এবং দর্শনীয় স্থানগুলোর ইতিহাস, প্রতীকী অর্থ এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্ব নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। সুমন গুপ্ত বাংলা সাহিত্যে এমন এক বিশিষ্ট লেখক, যার লেখার মধ্যে জীবনের গভীরতা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মানুষের অভ্যন্তরীণ জগতের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁর গবেষণাধর্মী এবং জীবন কাহিনীর বিশ্লেষণ বাংলা সাহিত্যকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ দিয়েছে।