
কৃষ্ণা দাশগুপ্ত
কৃষ্ণা দাশগুপ্ত একজন প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক, দার্শনিক এবং গবেষক, যিনি বিশেষভাবে বেদান্ত এবং ভারতীয় দর্শন নিয়ে তার কাজের জন্য পরিচিত। তিনি ১৯৩০ সালের ৩১ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তার লেখনীতে ভারতীয় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার প্রতি গভীর অনুরাগ এবং শ্রদ্ধা ছিল। কৃষ্ণা দাশগুপ্ত একজন বিদগ্ধ চিন্তাবিদ ছিলেন এবং তিনি জীবনের বিভিন্ন দিকের গভীর বিশ্লেষণ করেছেন, বিশেষ করে ভারতীয় দর্শন ও আধ্যাত্মিকতা নিয়ে। তাঁর রচনায় ভারতীয় দর্শন, আধ্যাত্মিকতার বাস্তবায়ন এবং প্রায়োগিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা পাঠকদের জীবনের পরিপূর্ণতা ও আধ্যাত্মিক অগ্রগতির পথ দেখানোর চেষ্টা করেছে। কৃষ্ণা দাশগুপ্তের সবচেয়ে পরিচিত রচনা "বিবেকানন্দের প্রায়োগিক বেদান্ত"। এই বইটি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস ও স্বামী বিবেকানন্দের দর্শন এবং বেদান্ত দর্শনের প্রতিফলন নিয়ে আলোচনা করে, যা আধুনিক জীবনকে আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে সহায়ক। "বিবেকানন্দের প্রায়োগিক বেদান্ত" বইটিতে তিনি বিবেকানন্দের দর্শনকে শুধু তাত্ত্বিক ধারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, তার প্রতিদিনের জীবনে বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বইয়ে বেদান্ত দর্শনের তাৎপর্য এবং তার প্রয়োগমূলক দিকগুলো সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা আধুনিক সমাজে একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস, মানসিক শক্তি, এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কৃষ্ণা দাশগুপ্ত তার লেখায় আধ্যাত্মিক চিন্তা ও দর্শনকে একটি জীবন্ত প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যা সমাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তার কাজগুলো পাঠকদের জন্য এক দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে, যা তাদের জীবনের উদ্দেশ্য, আধ্যাত্মিক বিকাশ এবং সামাজিক দায়িত্বের বিষয়ে গভীর চিন্তা করতে উৎসাহিত করে। কৃষ্ণা দাশগুপ্ত ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন, কিন্তু তার রচনা এবং দার্শনিক চিন্তাভাবনা আজও শিক্ষার্থীদের এবং চিন্তাবিদদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে।
কৃষ্ণা দাশগুপ্ত এর বই সমূহ