ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত লেখক, যিনি বিশেষ করে রহস্য, রোমাঞ্চ, এবং থ্রিলারের জঁরে ব্যাপক পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯৩৯ সালে এবং তিনি বাংলা সাহিত্যে তাঁর অনবদ্য কাহিনীর জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয়। রহস্য উপন্যাস এবং ছোটগল্পের জগতে তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন। ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় রহস্যের সঙ্গে কিছুটা অদ্ভুত এবং অলৌকিক উপাদান যোগ করে পাঠকদের মধ্যে চমক সৃষ্টি করেন, যা তাঁর লেখাকে পাঠকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। তাঁর রচিত বইগুলির মধ্যে অন্যতম "দ্বীপের নাম কালাডেরা", "সোনার সাগরে মৃত্যু", "শ্রীমান বিচ্ছু", "তুমি পিতামহ", "সাবধান! সাসপেন্স!", এবং "মৃত্যুকে আমি দেখেছি"। এই বইগুলোতে তিনি বিভিন্ন রহস্য এবং রোমাঞ্চকর ঘটনা তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের মনে দীর্ঘ সময়ের জন্য দাগ রেখে যায়। এছাড়াও, "গোপন প্রেম", "আজকের রূপকথা ভুলুর সকাল", "ভৌতিক অলৌকিক" সহ আরও অনেক বইয়ের মধ্যে বিভিন্ন অজানা, অদ্ভুত ও অলৌকিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর "জগুমামা রহস্য সমগ্র" সিরিজও বিশেষভাবে পরিচিত, যেখানে তিনি রহস্যের গূঢ় ও জটিল দিক তুলে ধরেছেন। সিরিজটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে আজও পাঠকদের মধ্যে সমাদৃত। ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখালেখির শৈলীও বিশেষভাবে অনন্য, যেটি রহস্য এবং থ্রিলারের মাঝে পাঠককে জড়িয়ে রাখে। এছাড়া, "লেখালিখির গল্প", "জঙ্গল অমনিবাস", "কালো দানোর আতঙ্ক", "বড়দের আরও", "বড়দের বারো", "ডাক এলে যেতেই হয়" বইগুলোও তাঁর সাহিত্যকীর্তির অংশ, যেখানে লেখক তাঁর চিন্তা ও অভিজ্ঞতা পাঠকদের সামনে তুলে ধরেন। ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে, যা তাঁর পাঠক সমাজে গভীর প্রভাব রেখেছে।