Binary file
শুভেন্দু মজুমদার

শুভেন্দু মজুমদার একজন প্রখ্যাত বাংলা লেখক, গবেষক ও সাহিত্যিক, যিনি বিশেষত ইতিহাস, সাহিত্য, ও সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখালেখি করেছেন। তিনি তার লেখায় সাধারণ মানুষের সংগ্রাম, বিপ্লবী চেতনাসম্পন্ন জীবনযাপন, এবং সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন। শুভেন্দু মজুমদার ১৯৪৮ সালের ৩০ জুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার জীবনযাত্রায় সমাজসেবা, সাহিত্য ও ইতিহাসের প্রতি অগাধ ভালোবাসা পোষণ করেছেন এবং তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য জগতকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দিয়েছেন। শুভেন্দু মজুমদারের লেখার মধ্যে ঐতিহাসিক উপাদান ও সমসাময়িক সামাজিক পরিস্থিতির সমন্বয় দেখা যায়। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বই হলো “কানাইলাল ও চন্দননগর গ্যাং”, “অগ্নিযুগের গল্প”, “অগ্নিযুগের অভিধান”, “অগ্নিযুগের চিঠি”, এবং “অগ্নিযুগের ফাঁসি”। এই বইগুলো বিশেষত ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অজানা অধ্যায়কে ফুটিয়ে তুলেছে। "কানাইলাল ও চন্দননগর গ্যাং" বইটি চন্দননগরের একটি বিপ্লবী গ্যাং ও তাদের সংগ্রাম এবং তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের গল্প তুলে ধরে। তার “অগ্নিযুগের গল্প” বইটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে কেন্দ্র করে লেখা, যেখানে তিনি বিপ্লবী চেতনাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। “অগ্নিযুগের অভিধান” বইটি একটি ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিপ্লবী যুগের শব্দাবলী ও তাদের অর্থ বিশ্লেষণ করে, যা পাঠকদেরকে বিপ্লবী যুগের শব্ধকোষ বুঝতে সাহায্য করে। “অগ্নিযুগের চিঠি” বইতে, তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চিঠির মাধ্যমে সেই যুগের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। “অগ্নিযুগের ফাঁসি” বইটি সেই সময়ের বিপ্লবী আন্দোলনের এবং তার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেশের জন্য আত্মবলিদানের কথাগুলো উপস্থাপন করেছে। শুভেন্দু মজুমদারের এই সব বই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। তার লেখার মধ্যে ইতিহাস, সাহিত্যের গভীরতা এবং বিপ্লবী চেতনার মিশ্রণ রয়েছে, যা পাঠকদের ইতিহাসের অজানা অধ্যায়গুলো সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে। তার সাহিত্যকর্ম শুধু সাহিত্যের জন্য নয়, ইতিহাস চর্চায়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

শুভেন্দু মজুমদার এর বই সমূহ

বাতিঘর

মূল্য

প্রকাশনী

মূল্য

প্রকাশনী