দ্বারকানাথ ঠাকুরের বহুমুখী বিচিত্র কর্মজগৎ তাঁর সমৃদ্ধ জীবনযাপন, কর্মজীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতা- সব মিলেমিশে তাঁর জীবিতকালেই নানা রূপকথা, কিংবদন্তি, মিথকথা তৈরি হয়। বিদেশে দ্বারকানাথের মৃত্যুর পর তা হয় আরও পল্লবিত। অনেক প্রজন্মের ব্যবধানে সেসব কিংবদন্তিকে ঘিরে কাল্পনিক রূপকথার মোহজাল সৃষ্টি হয়। অথবা দ্বারকানাথের ব্যয়বহুল বিলাসবহুল জীবনযাপনের রূপকথা। তাঁকে নিয়ে রূপকথার এই মায়জাল বাস্তবতার কত কাছাকাছি? পুরোটাই কি তথ্যনির্ভর? কারণ রূপকথার এই মায়াজাল ক্রমশ বিস্তৃত হয়ে দ্বারকানাথ ঠাকুরকে শুধু ‘বিস্কৃত’ই করে রাখেনি কখনো-কখনো মনে হয় দ্বারকানাথ ‘অচ্ছুত’ও বটে। তাই কি এমন ‘বাবা’ বা ‘পিতামহ’-কে ভুলে থাকাই শ্রেয়?
দ্বারকানাথ ঠাকুরের সৃজন উদ্যোগ-সমূহ ও বৈচিত্র্যময় কর্মজীবন কি তাই প্রমাণ করে?
উন্নয়ন শব্দটির পরিধিগত বিস্তৃতি এমনই যে ভারতীয় চত্বরতা গাড্ডায় পড়তেই পারে। তবে আনুষ্ঠানিক আওড়ানো চলতেই থাকবে। যাই মাধ্যম হোক না কেন, বর্তমানে বইটির লেখক সচেষ্ট হয়েছেন, আশানুরূপে ভারতের এখনকার শিল্প-বাণিজ্যের বাতাবরণে, দ্বারকানাথ ঠাকুরের ভাবমূর্তির পুনর্গঠনে। দ্বারকানাথের কর্মশৈলীতে পুঙ্খানুপুঙ্খতা এই বইতে স্থান পেয়েছে, যা দেবে বিশেষ অনুধাবন ও মানুষকে শামিল করার নিশানা।