শামসুদ্দিন চৌধুরী

শামসুদ্দিন চৌধুরী একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি লেখক, সাহিত্যিক এবং গবেষক, যিনি বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত গবেষণা ও লেখালেখি করেছেন। তার জন্ম ১৯৫০ সালের ৩১ আগস্ট, এবং তিনি ২০২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। শামসুদ্দিন চৌধুরী বিশেষভাবে মিথলজি, ইতিহাস এবং সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তার গবেষণার জন্য পরিচিত। তিনি ঐতিহাসিক বিষয়ক গবেষণা, প্রাচীন সভ্যতা, এবং পুরাণের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখালেখি করেছেন, যা পাঠকদের মাঝে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে। শামসুদ্দিন চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে "গ্রিসের মিথ", "পিরামিডের ভাষা প্যাপিরাসের কথার জাদুকর", "মেসোপটেমিয়ার মিথ", "আলেকজান্ডার ও গ্রিক সভ্যতা", "সাফো", "কিং আর্থার অ্যান্ড দ্য নাইটস অফ দ্য রাউন্ড টেবিল", "ট্রয় যুদ্ধের কথা", "প্লেটোর পাঠশালা", "নির্বাচিত রচনা", "উপন্যাসের বিকল্পধারা", "চিনের মিথলজি", "আফ্রিকার মিথ", "ধ্রুপদী মিথলজি", "আলব্যের ক্যামুর লড়াই", "হোমর", এবং "ভার্জিলের ঈনিড" উল্লেখযোগ্য। এ বইগুলোতে শামসুদ্দিন চৌধুরী বিশ্ব সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। "গ্রিসের মিথ" এবং "মেসোপটেমিয়ার মিথ" বইগুলোতে তিনি প্রাচীন গ্রিস এবং মেসোপটেমিয়ার মিথলজি এবং ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো বিশদভাবে আলোচনা করেছেন, যা ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। "আলেকজান্ডার ও গ্রিক সভ্যতা" গ্রিক সভ্যতার উত্থান এবং তার প্রভাব নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা। "সাফো" বইটিতে তিনি প্রাচীন গ্রিসের এক মহান নারী কবি সাফোর জীবন ও কাব্যচর্চা তুলে ধরেছেন, যিনি নারী চরিত্রের নতুন দিক উন্মোচন করেছিলেন। "কিং আর্থার অ্যান্ড দ্য নাইটস অফ দ্য রাউন্ড টেবিল" বইটি কিং আর্থারের কিংবদন্তি এবং তার সাহসী নাইটদের গল্প নিয়ে লেখা। এছাড়া, "প্লেটোর পাঠশালা" বইটি প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক প্লেটোর শিক্ষাদর্শন এবং তার ঐতিহাসিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছে। "ট্রয় যুদ্ধের কথা" বইটি প্রাচীন গ্রীক ও রোমান কাব্য এবং ইতিহাসের অন্যতম প্রধান ঘটনাটির বিশ্লেষণ দেয়। "হোমর" এবং "ভার্জিলের ঈনিড" বইগুলোতে হোমর এবং ভার্জিলের লেখা মহাকাব্য নিয়ে গভীর আলোচনার মাধ্যমে প্রাচীন সাহিত্য ও কাব্যশিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। শামসুদ্দিন চৌধুরী তার লেখনীর মাধ্যমে প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস, মিথলজি, সাহিত্যের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পাঠকদের সচেতন করেছেন। তার রচনাগুলো পাঠকদের ঐতিহাসিক তথ্য এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যা সাহিত্যের এবং ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী পাঠকদের জন্য এক অমূল্য সংযোজন।