সুন্দরের বিচার সভাতে
সুন্দরের বিচার সভাতে
150.00 ৳
200.00 ৳ (25% OFF)
যখন আমি বুকের পাঁজর খুলে দাঁড়াই
যখন আমি বুকের পাঁজর খুলে দাঁড়াই
225.00 ৳
300.00 ৳ (25% OFF)

তনুশ্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় রাত

https://baatighar.com/web/image/product.template/41358/image_1920?unique=336e233
(0 review)

তনুশ্রী চক্রবর্তীর সঙ্গে হাবিবুর রহমানের পরিচয় ও সখ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কোতে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোভিয়েত সমাজে তখন চলছে গ্লাসনস্ত-পিরিস্ত্রোইকার সুবাদে এক সর্বব্যাপী পরিবর্তন। বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা; সেইসঙ্গে মানুষের মন, বিশ্বাস, চালচলন। তনুশ্রী আর হাবিবের চোখের সামনে রচিত হচ্ছে একটি দীর্ঘ, উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিপ্লবের শেষ অধ্যায়। এ হচ্ছে এই কাহিনীর দেশকাল খোদ কাহিনীর পশ্চাৎপট বাঙলা। কলকাতার মেয়ে তনুশ্রীর সামন্ত পূর্বপুরুষ ১৯৪৭-এ পূর্ববঙ্গ থেকে বিতাড়িত। হাবিবের পূর্বপুরুষরা ছিলেন একই অঞ্চলের মধ্যবিত্ত কৃষক । অসম্ভব নয় যে, হাবিবের পিতামহ তনুশ্রীর ঠাকুর্দার প্রজা ছিলেন।

কিন্তু তাতে হাবিব বা তনুশ্রীর কিছু যেত-আসত না, কারণ তাদের সম্পর্ক সহপাঠীর; বন্ধুত্বের; প্রেম বা প্রণয়ের কোনো প্রসঙ্গ ছিল না। কিন্তু তনুশ্রীর কোষ্ঠীতে নাকি লেখা ছিল যে সে 'যবনকর্তৃক আক্রান্ত হইবে’। তাই কি এক ‘দৈব দুর্বিপাকে’ হাবিব কর্তৃক তার গর্ভসঞ্চার ঘটে? এ-কাহিনীর কূটাভাষ এই যে, মেধাবী, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, বাম মনোভাবাপন্ন তনুশ্রী কোষ্ঠীতে বিশ্বাস করে। তাহলে কিভাবে অগ্রসর হতে পারে এই কাহিনী? অতঃপর তনুশ্রীর হৃদয়ে কি কোনো পরিবর্তন সূচিত হয়? বন্ধু হাবিবকে প্রণয়ী হিসেবে সে কি গ্রহণ করতে পারে?

এই উপন্যাসে তনুশ্রীর নিজের সঙ্গে নিজের ঠাণ্ডা যুদ্ধ, হাবিবের সঙ্গে তার অদ্ভুত রহস্যময় আচরণ, হাবিবের মরিয়া অনুসন্ধান, তার স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন, মায়া বিভ্রম, বাইরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে উভয়ের ভেতরের ঝঞ্ঝা ও ক্ষরণ মিলেমিশে এক শ্বাসরুদ্ধকর, উত্তেজনাপূর্ণ নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়েছে, যা পাঠককে সবেগে তাড়িয়ে নিয়ে চলে।

100.00 ৳ 100.0 BDT 100.00 ৳

100.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Out of Stock
ঢাকা শাখা Out of Stock
সিলেট শাখা Out of Stock
চট্টগ্রাম শাখা Out of Stock
রাজশাহী শাখা Out of Stock
Pages

144

Format

Hardcover


100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

তনুশ্রী চক্রবর্তীর সঙ্গে হাবিবুর রহমানের পরিচয় ও সখ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কোতে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোভিয়েত সমাজে তখন চলছে গ্লাসনস্ত-পিরিস্ত্রোইকার সুবাদে এক সর্বব্যাপী পরিবর্তন। বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা; সেইসঙ্গে মানুষের মন, বিশ্বাস, চালচলন। তনুশ্রী আর হাবিবের চোখের সামনে রচিত হচ্ছে একটি দীর্ঘ, উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিপ্লবের শেষ অধ্যায়। এ হচ্ছে এই কাহিনীর দেশকাল খোদ কাহিনীর পশ্চাৎপট বাঙলা। কলকাতার মেয়ে তনুশ্রীর সামন্ত পূর্বপুরুষ ১৯৪৭-এ পূর্ববঙ্গ থেকে বিতাড়িত। হাবিবের পূর্বপুরুষরা ছিলেন একই অঞ্চলের মধ্যবিত্ত কৃষক । অসম্ভব নয় যে, হাবিবের পিতামহ তনুশ্রীর ঠাকুর্দার প্রজা ছিলেন। কিন্তু তাতে হাবিব বা তনুশ্রীর কিছু যেত-আসত না, কারণ তাদের সম্পর্ক সহপাঠীর; বন্ধুত্বের; প্রেম বা প্রণয়ের কোনো প্রসঙ্গ ছিল না। কিন্তু তনুশ্রীর কোষ্ঠীতে নাকি লেখা ছিল যে সে 'যবনকর্তৃক আক্রান্ত হইবে’। তাই কি এক ‘দৈব দুর্বিপাকে’ হাবিব কর্তৃক তার গর্ভসঞ্চার ঘটে? এ-কাহিনীর কূটাভাষ এই যে, মেধাবী, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, বাম মনোভাবাপন্ন তনুশ্রী কোষ্ঠীতে বিশ্বাস করে। তাহলে কিভাবে অগ্রসর হতে পারে এই কাহিনী? অতঃপর তনুশ্রীর হৃদয়ে কি কোনো পরিবর্তন সূচিত হয়? বন্ধু হাবিবকে প্রণয়ী হিসেবে সে কি গ্রহণ করতে পারে? এই উপন্যাসে তনুশ্রীর নিজের সঙ্গে নিজের ঠাণ্ডা যুদ্ধ, হাবিবের সঙ্গে তার অদ্ভুত রহস্যময় আচরণ, হাবিবের মরিয়া অনুসন্ধান, তার স্বপ্ন-দুঃস্বপ্ন, মায়া বিভ্রম, বাইরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে উভয়ের ভেতরের ঝঞ্ঝা ও ক্ষরণ মিলেমিশে এক শ্বাসরুদ্ধকর, উত্তেজনাপূর্ণ নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়েছে, যা পাঠককে সবেগে তাড়িয়ে নিয়ে চলে।

Author image

মশিউল আলম

মশিউল আলমের জন্ম বাংলাদেশের জয়পুরহাটে। ১৯৯৩ সালে মস্কোর গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর দেশে ফিরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘বাংলাবাজার পত্রিকা’, ‘ভোরের কাগজ’ ও ‘প্রথম আলো’র সম্পাদকীয় বিভাগে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন। এখন ‘মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা’ নামে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক একটি সাময়িক পত্রিকার সম্পাদক। লেখালেখির শুরু ১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি; প্রথম গল্পগ্রন্থ রূপালী রুই ও অন্যান্য গল্প প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে মাংসের কারবার, পাকিস্তান, তনুশ্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় রাত, ঘোড়ামাসুদ, জুবোফস্কি বুলভার ও যেভাবে নাই হয়ে গেলাম। ২০২৪ সালে ভারতের ওয়েস্টল্যান্ড বুকস থেকে প্রকাশিত The Meat Market: Ten Stories And A Novella বিশেষভাবে আলোচিত বই। তাঁর অনূদিত বইগুলোর মধ্যে ফিওদর দস্তইয়েফস্কির উপন্যাস ‘তলকুঠুরির কড়চা’(দস্তইয়েফস্কির নোটস ফ্রম আন্ডারগ্রাউন্ড), ‘নিরীহ’, আন্না দস্তইয়েফ্স্কায়ার স্মৃতিকথা ‘আমার দস্তইয়েফস্কি’ উল্লেখযোগ্য। ‘তলকুঠুরির কড়চা’ রুশ থেকে অনুবাদের জন্য ২০২৩ সালে পাঞ্জেরী-বিটিএফ বেস্ট ট্রান্সলেটেড বুক অব দ্য ইয়ার পুরস্কার লাভ। তাঁর গল্প ‘দুধ’ শবনম নাদিয়ার অনুবাদে Milk নামে ২০১৯ সালে হিমাল সাউথেশিয়ান শর্ট স্টোরি কমপিটিশনে শ্রেষ্ঠ গল্পের পুরস্কার পায়। তিনি ২০১৯ সালে সিলেট মিরর সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২০ সালে আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। মশিউল আলম যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রাম ২০২২-এর রেসিডেন্ট ফেলো।

Writer

মশিউল আলম

Publisher

মাওলা ব্রাদার্স

ISBN

9844101720

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

First Published

February 2000

Pages

144