অন্তর্জল
বিষণ্ণ সকাল। ধোঁয়াটে মেঘে বিবর্ণ আকাশ। কলতলার পাশে স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আছে নওল জামের চারা। তার পাশে বহুল প্রশাখাবিস্তৃত মাঝবয়েসি একটি কাঁঠালগাছ। বলাই ময়ালের পেটের সাইজের চারটি কাঁঠাল হাঁড়িমুখ করে ঝুলে আছে পৃথক চারটি ডালে।
আমের ডালে অত্যন্ত নিঃসঙ্গ একটা কাক, অবিরাম ডেকে যায় কা কা। এদিক-ওদিক তাকায় অনুসন্ধানী চোখ। হারানো সঙ্গীটিকে খুঁজে ফেরে ইতিউতি। সেই ডাক টিনের চালে আছড়ে পড়ে ঝনাৎ ঝনাৎ। রান্নাঘরের গা বেয়ে লতিয়ে উঠেছে মূর্তিমতী পুঁইডগা।
ক্রমেই কালো হয়ে আসা আবছায়ায়, ঘনায়মান অন্ধকারে কাছের-দূরের সবকিছুকে পরাবাস্তব বলে বোধ হয়। সকালের সাতকে সন্ধ্যার সাত বলে ভ্রম হয়। ইচ্ছেময়ীর ডানায় চেপে কোথা থেকে যেন এক দুর্বৃত্ত বাতাস উঠে আসে। হঠকারী খেয়াল চরিতার্থ করে, শোঁ শোঁ শব্দের ধুনো তোলে। হাঁক দেয়, লে লে হট হট। মেঘেদের জনপদে হানা দেয়। বাতাসের তাড়া খেয়ে বিপন্ন মেঘের দল পালিয়ে যায়। সে পথে নিজেকেও চলে যেতে দেয় হানাদার বাতাস। এই বই একখণ্ড মেঘ আর ওই হানাদার বাতাসেরই গল্প।
বিষণ্ণ সকাল। ধোঁয়াটে মেঘে বিবর্ণ আকাশ। কলতলার পাশে স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আছে নওল জামের চারা। তার পাশে বহুল প্রশাখাবিস্তৃত মাঝবয়েসি একটি কাঁঠালগাছ। বলাই ময়ালের পেটের সাইজের চারটি কাঁঠাল হাঁড়িমুখ করে ঝুলে আছে পৃথক চারটি ডালে। আমের ডালে অত্যন্ত নিঃসঙ্গ একটা কাক, অবিরাম ডেকে যায় কা কা। এদিক-ওদিক তাকায় অনুসন্ধানী চোখ। হারানো সঙ্গীটিকে খুঁজে ফেরে ইতিউতি। সেই ডাক টিনের চালে আছড়ে পড়ে ঝনাৎ ঝনাৎ। রান্নাঘরের গা বেয়ে লতিয়ে উঠেছে মূর্তিমতী পুঁইডগা। ক্রমেই কালো হয়ে আসা আবছায়ায়, ঘনায়মান অন্ধকারে কাছের-দূরের সবকিছুকে পরাবাস্তব বলে বোধ হয়। সকালের সাতকে সন্ধ্যার সাত বলে ভ্রম হয়। ইচ্ছেময়ীর ডানায় চেপে কোথা থেকে যেন এক দুর্বৃত্ত বাতাস উঠে আসে। হঠকারী খেয়াল চরিতার্থ করে, শোঁ শোঁ শব্দের ধুনো তোলে। হাঁক দেয়, লে লে হট হট। মেঘেদের জনপদে হানা দেয়। বাতাসের তাড়া খেয়ে বিপন্ন মেঘের দল পালিয়ে যায়। সে পথে নিজেকেও চলে যেতে দেয় হানাদার বাতাস। এই বই একখণ্ড মেঘ আর ওই হানাদার বাতাসেরই গল্প।