ইফতেখার আহমেদ

ইফতেখার আহমেদ একজন প্রখ্যাত লেখক, সাহিত্যিক, ও ইতিহাসবিদ, যিনি বিশেষত বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখার জন্য পরিচিত। তিনি তার লেখায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, বিশেষত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও বাংলাদেশ স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা এবং বিশ্লেষণ করেছেন। ইফতেখার আহমেদ মূলত তার তথ্যভিত্তিক বই, যেগুলো ইতিহাসের বাস্তব চিত্র এবং গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরে, সেগুলোর জন্য পাঠক মহলে জনপ্রিয়। ইফতেখার আহমেদ ১৯৬৫ সালের ৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে সাংবাদিক, লেখক এবং ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিচিত। তার লেখায় তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বা বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরেননি, বরং তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিপর্যয় এবং সেই সময়ের মানবিক সংগ্রাম সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন। তার লেখার ধরণ তথ্যনির্ভর এবং গভীর বিশ্লেষণমূলক। তার লেখায় উত্থাপন করা বিভিন্ন বিষয় পাঠককে অতীতের ইতিহাসের সঙ্গে সংযোগ করতে উদ্বুদ্ধ করে। ইফতেখার আহমেদের দুইটি উল্লেখযোগ্য বই হলো "নীহারিকায় তাণ্ডব ১" এবং "বঙ্গবন্ধু হত্যা-গাথা: ঢাকায় কিয়ামত"। "নীহারিকায় তাণ্ডব ১" বইটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়কে তুলে ধরে, যেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক বিপর্যয় এবং জনগণের সংগ্রামের বর্ণনা রয়েছে। এই বইটি বিশেষভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের ঘটনাবলী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্কটময় মুহূর্তগুলির বাস্তব চিত্র বর্ণনা করে। অন্যদিকে, "বঙ্গবন্ধু হত্যা-গাথা: ঢাকায় কিয়ামত" বইটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও তার হত্যাকাণ্ডের পটভূমি তুলে ধরে। এই বইটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়কে চিহ্নিত করে, যেখানে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, তার পিছনে থাকা ষড়যন্ত্র এবং সেই সময়ে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যে কিয়ামত তথা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তারও একটি বিশ্লেষণ প্রদান করে। ইফতেখার আহমেদের অন্যান্য বইগুলোও ইতিহাস, রাজনীতি এবং সমাজ নিয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করে এবং তিনি তার লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের অজানা অনেক দিক প্রকাশ করেছেন। তার বইগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি পাঠকদের আগ্রহ ও মনোযোগ বৃদ্ধি করেছে এবং তাকে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।