মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ, ডাক নাম গালিব (ডিসেম্বর ২৭, ১৭৯৭ — ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৮৬৯) ভারতবর্ষে মোঘল-সম্রাজ্যের শেষ ও ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকের একজন উর্দু এবং ফার্সি ভাষার কবি । সাহিত্যে তার অনন্য অবদানের জন্য তাকে দাবির-উল-মালিক ও নাজিম-উদ-দৌলা উপাধি দেওয়া হয়। তার সময়কালে ভরতবর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য তার ঔজ্জ্বল্য হারায় এবং শেষে ১৮৫৭ সালের সিপাহীবিদ্রোহ এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশরা পুরোপুরিভাবে মোঘলদের ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করে, তিনি তার লেখায় এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন। মহাবিদ্রোহের সময়কার তার লেখা সেই দিনলিপির নাম দাস্তাম্বু। তিনি জীবনকালে বেশ কয়েকটি গজল রচনা করেছিলেন যা পরবর্তীতে বিভিন্ন জন বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন ও গেয়েছেন। তাকে মোঘল সম্রাজ্যের সর্বশেষ কবি হিসেবে ও দক্ষিণ এশিয়ায় তাকে উর্দু ভাষার সবচেয়ে প্রভাবশালী কবি বলে মনে করা হয়। আজ শুধু ভারত বা পাকিস্তানে নয় সারা বিশ্বেই গালিবের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
জাফর আলম ১৯৪৩ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহল করেন। কলামিষ্ট, অনুবাদক ও সমালােচক হিসেবে জাফর আলম সুপরিচিত। পঞ্চাশের দশকে তিনি সাপ্তাহিক পল্লীবার্তা পরবর্তীকালে পূর্বদেশ, দৈনিক সংবাদ এবং তৎকালীন পাকিস্তান অবজার্ভার (বর্তমানে বাংলাদেশ অবজার্ভার)-এর বগুড়া জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানে (অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা) সহ-সম্পাদক হিসেবে এবং পরে জনপদে সিনিয়র সহসম্পাদক হিসেবে যােগদান করেন। ১৯৮০ সালে তথ্য অধিদফতরে তথ্য অফিসার হিসেবে যােগদান করেন। অনুবাদের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন প্রমা সাহিত্য পুরস্কার (কলকাতা ১৯৯৭), কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ২০০৪, জাতীয় প্রেসক্লাব লেখক সম্মাননা ২০০৩ এবং বাংলাদেশ জনসংযােগ সমিতির পক্ষ থেকে জনসংযােগ ব্যক্তিত্ব পদক ২০০৬। গ্রন্থসমূহ : বাহাদুর শাহ জাফর: শেষ মুঘল সম্রাট, চম্বল কী রাণী, মুলকরাজ আনন্দ: নির্বাচিত গল্প, কৃষণ চন্দরে শ্রেষ্ঠ গল্প, সিদ্ধার্থ, উপমহাদেশের দাঙ্গার গল্প, সা’দত হাসান মান্টোর প্রবন্ধ কাফনের জামা, দাস্তাম্বু : সিপাহি বিদ্রোহের রোজনামচা ইত্যাদি।