এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার যিনি এ.কে. খন্দকার নামে পরিচিত (জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৩০) বাংলাদেশের একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা যিনি বিমানবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন। ২০০৯-এ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রী নিয়োগ করেন।
জন্ম বগুড়ায়, ১৪ শ্রাবণ ১৩৪৩। শৈশব কাটে সেখানেই। বিশ্ব-পরিমণ্ডলে তখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ধ্বংসের ধ্বনি। চারপাশে তার নগ্ন প্রতিচ্ছবি—পঞ্চাশের মন্বন্তর, ক্ষুধার্তের মৃত্যুর সারি, পরাধীনতার বিরুদ্ধে দ্রোহ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ভারত ভাগ। তার পরপরই অধিকার অর্জনের সব স্বপ্ন একে একে ভেঙে পড়ার দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষায়তনের বাইরেও সমাজ, ইতিহাস ও দর্শনে উৎসুক হয়ে ওঠে তাঁর মন। ইত্তেফাক-এ সাংবাদিকতার সুবাদে পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গতিধারা পর্যবেক্ষণ করেন নিবিড়ভাবে। সাংবাদিকতা থেকে বিদায় নেওয়ার ছয় বছর পর একাত্তরের প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুজিবনগর সরকারের পক্ষে ভারতের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছিল তাঁর অন্যতম দায়িত্ব। তাঁর গবেষণাধর্মী বই মূলধারা ’৭১ মুক্তিযুদ্ধের একটি আকর গ্রন্থ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।