মীর তকি মীর : গজল থেকে
জাহাঁ সে দেখিয়ে ইক শাের আংগেয নিকলে হ্যাঁয়
কায়ামত কা সা হাংগামা হ্যায় হর জা মেরে দিওয়ান মে
(যেদিক হতেই দেখ , কোন পংতি নিনাদ করে ওঠে
আমার কাব্যগ্রন্থে সর্বত্র প্রলয়ের মতাে কোলাহল)
যদি পৃথিবীর এমন কবিদের তালিকা করা হয় যাদের নাম কোনকালেই পুরাতন হবে না, তাহলে সেই তালিকায় মীর তকি মীর অবশ্যই থাকবেন। তিনি নিজে অনুভব করেছেন :
বরসোঁ লাগে হুয়ে হ্যাঁয় জাব মেহের ও মাহ কি আঁখে
তাব হামসা কোয়ি সাহিব সাহিবে নযর বনে হ্যায়
(সূর্য চন্দ্র বহু কাল নির্নিমেষ তাকিয়ে অপেক্ষায় থাকে
তার পর আমার মতাে কারাে প্রজ্ঞাদৃষ্টি জন্মায়)
মির্জা গালিব তাঁকে নিজ মানের ওস্তাদ মেনেছেন :
রেখতে কে তুমহি উস্তাদ নেহি হাে গালিব
ক্যাহতে হ্যাঁয় আগলে যামানে মে কোয়ি মীর ভি থা
(রেখতার তুমিই এক ওস্তাদ নও হে গালিব
লােকে বলে, আগের যুগে মীর বলেও একজন ছিলেন)
তাঁর কবিতার এমন জাদু, তিনি যা বলেন, পাঠকের মনে হয় : হ্যাঁ, আমার মনের মাঝেই তাে একথা ছিল! এই প্রভাবের জন্ম কবির কালের যাতনাকে মানবিক অনুভূতির মাঝ দিয়ে প্রকাশের ক্ষমতায় :
মুঝকো শায়ের না কহাে মীর কে সাহিব ম্যায়নে
রনজ ও গম কিতনে কিয়ে জমা তাে দিওয়ান কিয়া
(আমাকে কবি বলাে না মীর, কেননা বন্ধু
কত দুঃখ বেদনা জমা করে তবে এই কাব্যগ্রন্থ হলাে)
আমজনতার মুখের ভাষা হতে প্রশ্নাতীত মানের কবিতা রচনা করে গেছেন তিনি। কোনাে অধিবিদ্যার আশ্রয় না নিয়ে। নিতান্ত আটপৌরে সহজ মানুষের অনুভবকে রূপান্তরিত করেছেন চিরকালীন কবিতায়। মােগলদের শেষ যুগে পশ্চিম-আচ্ছন্ন দৃষ্টিতে জগৎ দেখার আগে একজন বিশ্বমানের কবির পাঠ পাওয়া যাবে মীর তকি মীরের কবিতায়।
জাহাঁ সে দেখিয়ে ইক শাের আংগেয নিকলে হ্যাঁয় কায়ামত কা সা হাংগামা হ্যায় হর জা মেরে দিওয়ান মে (যেদিক হতেই দেখ , কোন পংতি নিনাদ করে ওঠে আমার কাব্যগ্রন্থে সর্বত্র প্রলয়ের মতাে কোলাহল) যদি পৃথিবীর এমন কবিদের তালিকা করা হয় যাদের নাম কোনকালেই পুরাতন হবে না, তাহলে সেই তালিকায় মীর তকি মীর অবশ্যই থাকবেন। তিনি নিজে অনুভব করেছেন : বরসোঁ লাগে হুয়ে হ্যাঁয় জাব মেহের ও মাহ কি আঁখে তাব হামসা কোয়ি সাহিব সাহিবে নযর বনে হ্যায় (সূর্য চন্দ্র বহু কাল নির্নিমেষ তাকিয়ে অপেক্ষায় থাকে তার পর আমার মতাে কারাে প্রজ্ঞাদৃষ্টি জন্মায়) মির্জা গালিব তাঁকে নিজ মানের ওস্তাদ মেনেছেন : রেখতে কে তুমহি উস্তাদ নেহি হাে গালিব ক্যাহতে হ্যাঁয় আগলে যামানে মে কোয়ি মীর ভি থা (রেখতার তুমিই এক ওস্তাদ নও হে গালিব লােকে বলে, আগের যুগে মীর বলেও একজন ছিলেন) তাঁর কবিতার এমন জাদু, তিনি যা বলেন, পাঠকের মনে হয় : হ্যাঁ, আমার মনের মাঝেই তাে একথা ছিল! এই প্রভাবের জন্ম কবির কালের যাতনাকে মানবিক অনুভূতির মাঝ দিয়ে প্রকাশের ক্ষমতায় : মুঝকো শায়ের না কহাে মীর কে সাহিব ম্যায়নে রনজ ও গম কিতনে কিয়ে জমা তাে দিওয়ান কিয়া (আমাকে কবি বলাে না মীর, কেননা বন্ধু কত দুঃখ বেদনা জমা করে তবে এই কাব্যগ্রন্থ হলাে) আমজনতার মুখের ভাষা হতে প্রশ্নাতীত মানের কবিতা রচনা করে গেছেন তিনি। কোনাে অধিবিদ্যার আশ্রয় না নিয়ে। নিতান্ত আটপৌরে সহজ মানুষের অনুভবকে রূপান্তরিত করেছেন চিরকালীন কবিতায়। মােগলদের শেষ যুগে পশ্চিম-আচ্ছন্ন দৃষ্টিতে জগৎ দেখার আগে একজন বিশ্বমানের কবির পাঠ পাওয়া যাবে মীর তকি মীরের কবিতায়।
Translator |
|
Publisher |
|
ISBN |
9789847763989 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
Bangladesh |
Format |
Hardcover |
Pages |
191 |