কথা প্রসঙ্গে
কথা প্রসঙ্গে
900.00 ৳
1,000.00 ৳ (10% OFF)
জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি
জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি
750.00 ৳
1,000.00 ৳ (25% OFF)

বাঙালীর জাতীয়তাবাদ

https://baatighar.com/web/image/product.template/16319/image_1920?unique=336e233
(0 review)

জাতীয়তাবাদের পক্ষে যেমন বিপক্ষেও তেমনি অনেক কিছু বলার আছে, এবং থাকবে। জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেম এক বস্তু নয়; জাতীয়তাবাদ আরো বেশি রাজনৈতিক। বাঙালীর জাতীয়তাবাদ ভাষাভিত্তিক, এবং আত্মরক্ষামূলক। কথা ছিল জাতীয়তাবাদ বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ করবে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা ঘটেনি। না ঘটার কারণ হচ্ছে বৈষম্য। বৈষম্যের মুখ্য প্রকাশগুলোর মধ্যে রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা ও শ্রেণীবিভাজন। সাম্প্রদায়িক কারণে বাংলা বিভক্ত হয়েছে, পরে প্রতিষ্ঠা ঘটেছে বাংলাদেশের, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশেও সব বাঙালী যে ঐক্যবদ্ধ তা নয়, এখানে ঐক্যের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে রয়েছে শ্রেণী- দূরত্ব। ঐক্যের অন্তরায়গুলোকে চিহ্নিত করাই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। অনৈক্য সৃষ্টিতে রাষ্ট্র ও রাজনীতির ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; তদুপরি জাতীয়তাবাদ নিজেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত; সে কারণে রাজনীতির আলোচনা নিয়েই বইএর দীর্ঘতম পরিচ্ছেদ। বৈষম্য রয়েছে অর্থনীতিতে, শিক্ষায়, নারীর অবস্থানে। ভাষার দায় ও দায়িত্ব ছিল ঐক্য গরায় সাহায্য করা; কিন্তু ভাষা সে কাজ করতে পারেনি। প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠায় বাঙালী মধ্যবিত্তের অপারগতাও অনৈক্য সৃষ্টির কারণ বটে। আমলাতন্ত্র বৈষম্যকে পুষ্ট করেছে, এবং দায়িত্ব নিয়েছে তার সংরক্ষণের। বাংলা ও বাঙালীর জীবনে আঞ্চলিক পার্থক্যও অসত্য ছিলনা। এই বিষয়গুলোর প্রত্যেকটির ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। বাঙালীর ঐক্য-অনৈক্য সৃষ্টির ইতিহাসে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ধারার তিন প্রতিনিধি- মেকওলে, বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দকে নিয়ে আলোচনা রয়েছে একটি স্বতন্ত্র পরিচ্ছেদে। সর্বনাম কিভাবে বাঙালীর সঙ্গে বাঙালীর দূরত্বের স্বারকচিহ্ন হিসাবে কাজ করেছে সেটি দেখানো হয়েছে আরেকটি পরিচ্ছেদে। অবতরণিকা থেকে শুরু করে উপসংহার পর্যন্ত আসলে একটিই পর্যালোচনা, যেটিকে ভিন্ন ভিন্ন পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ইংরেজ আগমনের পর থেকে; বইয়ের কাহিনীর সূত্রপাতও সেখান থেকেই; শেষ হয়েছে সাম্প্রতিক কালে এসে। যে বক্তব্যটি প্রচ্ছন্নভাবে অধিকাংশ সময়ে এবং কখনও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা হল ঐক্যের সকল আয়োজনের আড়ালে জাতিগঠনের পরিবর্তে শ্রেণীগঠনের কাজটাই ঘটেছে।

450.00 ৳ 450.0 BDT 600.00 ৳

600.00 ৳

Not Available For Sale

Hurry Up! Limited time offer.
Offer Finished.

This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Available
ঢাকা শাখা Available
সিলেট শাখা Out of Stock
চট্টগ্রাম শাখা Available
রাজশাহী শাখা Available

100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

জাতীয়তাবাদের পক্ষে যেমন বিপক্ষেও তেমনি অনেক কিছু বলার আছে, এবং থাকবে। জাতীয়তাবাদ আর দেশপ্রেম এক বস্তু নয়; জাতীয়তাবাদ আরো বেশি রাজনৈতিক। বাঙালীর জাতীয়তাবাদ ভাষাভিত্তিক, এবং আত্মরক্ষামূলক। কথা ছিল জাতীয়তাবাদ বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ করবে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা ঘটেনি। না ঘটার কারণ হচ্ছে বৈষম্য। বৈষম্যের মুখ্য প্রকাশগুলোর মধ্যে রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা ও শ্রেণীবিভাজন। সাম্প্রদায়িক কারণে বাংলা বিভক্ত হয়েছে, পরে প্রতিষ্ঠা ঘটেছে বাংলাদেশের, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশেও সব বাঙালী যে ঐক্যবদ্ধ তা নয়, এখানে ঐক্যের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে রয়েছে শ্রেণী- দূরত্ব। ঐক্যের অন্তরায়গুলোকে চিহ্নিত করাই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। অনৈক্য সৃষ্টিতে রাষ্ট্র ও রাজনীতির ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; তদুপরি জাতীয়তাবাদ নিজেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত; সে কারণে রাজনীতির আলোচনা নিয়েই বইএর দীর্ঘতম পরিচ্ছেদ। বৈষম্য রয়েছে অর্থনীতিতে, শিক্ষায়, নারীর অবস্থানে। ভাষার দায় ও দায়িত্ব ছিল ঐক্য গরায় সাহায্য করা; কিন্তু ভাষা সে কাজ করতে পারেনি। প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠায় বাঙালী মধ্যবিত্তের অপারগতাও অনৈক্য সৃষ্টির কারণ বটে। আমলাতন্ত্র বৈষম্যকে পুষ্ট করেছে, এবং দায়িত্ব নিয়েছে তার সংরক্ষণের। বাংলা ও বাঙালীর জীবনে আঞ্চলিক পার্থক্যও অসত্য ছিলনা। এই বিষয়গুলোর প্রত্যেকটির ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। বাঙালীর ঐক্য-অনৈক্য সৃষ্টির ইতিহাসে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ধারার তিন প্রতিনিধি- মেকওলে, বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দকে নিয়ে আলোচনা রয়েছে একটি স্বতন্ত্র পরিচ্ছেদে। সর্বনাম কিভাবে বাঙালীর সঙ্গে বাঙালীর দূরত্বের স্বারকচিহ্ন হিসাবে কাজ করেছে সেটি দেখানো হয়েছে আরেকটি পরিচ্ছেদে। অবতরণিকা থেকে শুরু করে উপসংহার পর্যন্ত আসলে একটিই পর্যালোচনা, যেটিকে ভিন্ন ভিন্ন পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ইংরেজ আগমনের পর থেকে; বইয়ের কাহিনীর সূত্রপাতও সেখান থেকেই; শেষ হয়েছে সাম্প্রতিক কালে এসে। যে বক্তব্যটি প্রচ্ছন্নভাবে অধিকাংশ সময়ে এবং কখনও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা হল ঐক্যের সকল আয়োজনের আড়ালে জাতিগঠনের পরিবর্তে শ্রেণীগঠনের কাজটাই ঘটেছে।

Author image

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম ২৩ জুন, ১৯৩৬) একজন বাংলাদেশি লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৮০-এর দশকে "গাছপাথর" ছদ্মনামে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।‌শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

Writer

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

Publisher

দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড

ISBN

9789845060622

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

First Published

2000

Pages

472