তাম্রপ্রভার মেয়েরা
এই মিথের শুরু হয়েছে সৃষ্টির প্রথম নারীর হাত ধরে। নিঃসঙ্গ সেই নারীর কান্না থেকে নাক দিয়ে যে সর্দি বেরিয়ে আসে, তাই ঝিনুকের খােলায় বড় হয়ে উৎপত্তি হয় দ্বীপের প্রথম পুরুষের। তাদের সঙ্গমেই জন্মায় তাম্রপ্রভা নারীর প্রথম কন্যা সন্তান মােওয়িটা। তাদের থেকেই আরও আরও নারী পুরুষ জন্ম নিয়ে এই দ্বীপপুঞ্জে পত্তন ঘটে এক নতুন মাতৃতান্ত্রিক নারী-প্রধান সভ্যতার। এই উপকথার দ্বীপ-সমাজ একদিকে যেমন মাতৃ-তান্ত্রিক, সমাজে নারীর ভূমিকা এবং স্বাধীনতাকে যেমন গুরুত্ব দেয়, তেমনি এই সমাজ সমবায় সমাজ। তাদের নিজস্ব সংস্কার ছিল, প্রথা ছিল, ছিল নিজস্ব জ্ঞান-বিজ্ঞান। তারা সমুদ্রের স্রোত চিনত, নৌকায় দূর দূরান্তে যাওয়ার জন্যে দিক, দূরত্ব ও অবস্থান নির্ণয়ের নিজস্ব পদ্ধতি ছিল, ছিল নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থা। কিন্তু স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ এই সমাজে নারীদেহ এবং সােনার লােভে বহিরাগত নাবিকেরা ক্রমাগত অত্যাচার চালিয়েছে; তাদের সভ্য করার তাগিদে দেওয়া হয়েছে মিশনারি শিক্ষা, প্রােথিত করা হয়েছে নব-প্রজন্মের মনে যাবতীয় ভেদাভেদ। এই ভাবে প্রাচীন এক সমাজ-সভ্যতা সময়ের সাথে পরিণত হয়েছে এক উপকথায়, এক কল্পকথায়। লেখিকা অ্যানি ক্যামেরনের বহুবছর ধরে ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের নারীদের কাছ থেকে এই উপকথার কাহিনীমালা শুনে এসেছেন। যে কাহিনী অনেক প্রজন্ম ধরে অপার গােপনীয়তায় এবং শ্ৰতির মাধ্যমে বাহিত হয়ে আসছে। হারিয়ে যাওয়া সেই পৌরাণিক সমাজের যােগসূত্র এখনও বহন করে চলেছেন যার , তাদের কাছে অনুমতি পাওয়ার পরেই অ্যানি ক্যামেরন ১৯৮১ সালে এই বই প্রকাশ করেন।
এই মিথের শুরু হয়েছে সৃষ্টির প্রথম নারীর হাত ধরে। নিঃসঙ্গ সেই নারীর কান্না থেকে নাক দিয়ে যে সর্দি বেরিয়ে আসে, তাই ঝিনুকের খােলায় বড় হয়ে উৎপত্তি হয় দ্বীপের প্রথম পুরুষের। তাদের সঙ্গমেই জন্মায় তাম্রপ্রভা নারীর প্রথম কন্যা সন্তান মােওয়িটা। তাদের থেকেই আরও আরও নারী পুরুষ জন্ম নিয়ে এই দ্বীপপুঞ্জে পত্তন ঘটে এক নতুন মাতৃতান্ত্রিক নারী-প্রধান সভ্যতার। এই উপকথার দ্বীপ-সমাজ একদিকে যেমন মাতৃ-তান্ত্রিক, সমাজে নারীর ভূমিকা এবং স্বাধীনতাকে যেমন গুরুত্ব দেয়, তেমনি এই সমাজ সমবায় সমাজ। তাদের নিজস্ব সংস্কার ছিল, প্রথা ছিল, ছিল নিজস্ব জ্ঞান-বিজ্ঞান। তারা সমুদ্রের স্রোত চিনত, নৌকায় দূর দূরান্তে যাওয়ার জন্যে দিক, দূরত্ব ও অবস্থান নির্ণয়ের নিজস্ব পদ্ধতি ছিল, ছিল নিজস্ব চিকিৎসা ব্যবস্থা। কিন্তু স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ এই সমাজে নারীদেহ এবং সােনার লােভে বহিরাগত নাবিকেরা ক্রমাগত অত্যাচার চালিয়েছে; তাদের সভ্য করার তাগিদে দেওয়া হয়েছে মিশনারি শিক্ষা, প্রােথিত করা হয়েছে নব-প্রজন্মের মনে যাবতীয় ভেদাভেদ। এই ভাবে প্রাচীন এক সমাজ-সভ্যতা সময়ের সাথে পরিণত হয়েছে এক উপকথায়, এক কল্পকথায়। লেখিকা অ্যানি ক্যামেরনের বহুবছর ধরে ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের নারীদের কাছ থেকে এই উপকথার কাহিনীমালা শুনে এসেছেন। যে কাহিনী অনেক প্রজন্ম ধরে অপার গােপনীয়তায় এবং শ্ৰতির মাধ্যমে বাহিত হয়ে আসছে। হারিয়ে যাওয়া সেই পৌরাণিক সমাজের যােগসূত্র এখনও বহন করে চলেছেন যার , তাদের কাছে অনুমতি পাওয়ার পরেই অ্যানি ক্যামেরন ১৯৮১ সালে এই বই প্রকাশ করেন।
Writer |
|
Translator |
|
Publisher |
|
ISBN |
9789843446213 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
Bangladesh |
Format |
Paperback |
Pages |
175 |