আমি মীরজাফরের বেগম
মৃত্যুর পরে যাঁর সম্মানার্থে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে নাইবার তোপধ্বনি করা হয়েছিল, দানশীলতার জন্যে যাকে "মাদার-ই-কোম্পানি' অর্থাৎ 'কোম্পানির মাতা' নামে অভিহিত করা হত, প্রাতঃস্মরণীয়া রানি ভবানীর ন্যায় যার নামও এককালে অতি সম্মানের সহিত উচ্চারণ করা হত, এ কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র সেই নারী-জনাব মীরজাফর আলি খাঁ-র প্রধানা মহিবী, 'গদিনশিন' পদপ্রাপ্ত মণিবেগম।
সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর ভ্রাতা এক্রামউদ্দৌলার বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেবার মহাসমারোহের আয়োজন করা হয়েছিল। সেবারই সুদূর শাহজাহনাবাদ থেকে নৃত্যগীতাদির নির্মিত্ত নগদ দশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিশুবেগ ও তার নর্তকী সম্প্রদায়কে মুর্শিদাবাদে আনা হয়েছিল। সেই নর্তকীদলে বালিকা মণিও ছিল। তবে সে তখন মণিবেগম নয়, সামান্য মণিবাই। এ কাহিনি এই মণিবাই থেকে ‘গদিনশিন' মণিবেগম হয়ে ওঠার মাঝের বর্ণময় অধ্যায়গুলির কথা বলে।
মহাত্মা নবাব আলিবর্দী খাঁ-র মৃত্যু, প্রাণোদ্দীপ্ত তরুণ নবাব সিরাজদ্দৌলার ক্রিয়াকলাপ, পলাশির যুদ্ধ, সিরাজের করুণ পরিণতি ও জনাব মীরজাফর আলি খা-র মসনদপ্রাপ্তির বিবরণ একের পর এক উঠে আসে মণিবেগমের বয়ানে। দেওয়ান-নবাব-প্রজা-বাঁদিদের ঘটনাবহুল জীবনস্রোতে ভেসে চলে গল্পের তরণি। নবাব মীরজাফরের অনুশোচনা, লর্ড ক্লাইডের প্রভুত্ব বিস্তার, অত্যাচারী দেবী সিংহ ও রেজা খাঁ-র ক্রিয়াকলা প, মহামান্য হেস্টিংসের ক্ষমতা বৃদ্ধির ঘটনার পাশাপ শি কালীসাধক রামপ্রসাদ প্রসঙ্গ, দানশীল হাজি মহম্মদ মহসিনের কথা, মহারাজা নন্দকুমার ও পুণ্যবর্তী রানি ভবানীর কথন পরতে পরতে সমৃদ্ধ করে তোলে এই ঐতিহাসিক কাহিনিগর্ভটিকে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের দুর্বিষহ বর্ণনা থেকে বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ মহারাজা নন্দকুমারের ফাঁসি প্রসঙ্গকথাও উঠে আসে এ কাল্পনিক আত্মকথনমূলক বর্ণনায়।
সর্বোপরি, 'আমি মীরজাফরের বেগম' ইতিহাসপিপাসু পাঠকদের নিয়ে গিয়ে ফেলবে সেই ঘটনাবহুল অষ্টাদশ শতাব্দীর অস্থির ইতিহাস প্রকোষ্ঠে, যেখানে প্রধান হয়ে ওঠে বাদশা-বেগম-রাজা-রানি-প্রজা-জারিয়াদের পারস্পরিক কথোপকথন।
মৃত্যুর পরে যাঁর সম্মানার্থে ফোর্ট উইলিয়াম থেকে নাইবার তোপধ্বনি করা হয়েছিল, দানশীলতার জন্যে যাকে "মাদার-ই-কোম্পানি' অর্থাৎ 'কোম্পানির মাতা' নামে অভিহিত করা হত, প্রাতঃস্মরণীয়া রানি ভবানীর ন্যায় যার নামও এককালে অতি সম্মানের সহিত উচ্চারণ করা হত, এ কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র সেই নারী-জনাব মীরজাফর আলি খাঁ-র প্রধানা মহিবী, 'গদিনশিন' পদপ্রাপ্ত মণিবেগম। সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর ভ্রাতা এক্রামউদ্দৌলার বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেবার মহাসমারোহের আয়োজন করা হয়েছিল। সেবারই সুদূর শাহজাহনাবাদ থেকে নৃত্যগীতাদির নির্মিত্ত নগদ দশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিশুবেগ ও তার নর্তকী সম্প্রদায়কে মুর্শিদাবাদে আনা হয়েছিল। সেই নর্তকীদলে বালিকা মণিও ছিল। তবে সে তখন মণিবেগম নয়, সামান্য মণিবাই। এ কাহিনি এই মণিবাই থেকে ‘গদিনশিন' মণিবেগম হয়ে ওঠার মাঝের বর্ণময় অধ্যায়গুলির কথা বলে। মহাত্মা নবাব আলিবর্দী খাঁ-র মৃত্যু, প্রাণোদ্দীপ্ত তরুণ নবাব সিরাজদ্দৌলার ক্রিয়াকলাপ, পলাশির যুদ্ধ, সিরাজের করুণ পরিণতি ও জনাব মীরজাফর আলি খা-র মসনদপ্রাপ্তির বিবরণ একের পর এক উঠে আসে মণিবেগমের বয়ানে। দেওয়ান-নবাব-প্রজা-বাঁদিদের ঘটনাবহুল জীবনস্রোতে ভেসে চলে গল্পের তরণি। নবাব মীরজাফরের অনুশোচনা, লর্ড ক্লাইডের প্রভুত্ব বিস্তার, অত্যাচারী দেবী সিংহ ও রেজা খাঁ-র ক্রিয়াকলা প, মহামান্য হেস্টিংসের ক্ষমতা বৃদ্ধির ঘটনার পাশাপ শি কালীসাধক রামপ্রসাদ প্রসঙ্গ, দানশীল হাজি মহম্মদ মহসিনের কথা, মহারাজা নন্দকুমার ও পুণ্যবর্তী রানি ভবানীর কথন পরতে পরতে সমৃদ্ধ করে তোলে এই ঐতিহাসিক কাহিনিগর্ভটিকে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের দুর্বিষহ বর্ণনা থেকে বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ মহারাজা নন্দকুমারের ফাঁসি প্রসঙ্গকথাও উঠে আসে এ কাল্পনিক আত্মকথনমূলক বর্ণনায়। সর্বোপরি, 'আমি মীরজাফরের বেগম' ইতিহাসপিপাসু পাঠকদের নিয়ে গিয়ে ফেলবে সেই ঘটনাবহুল অষ্টাদশ শতাব্দীর অস্থির ইতিহাস প্রকোষ্ঠে, যেখানে প্রধান হয়ে ওঠে বাদশা-বেগম-রাজা-রানি-প্রজা-জারিয়াদের পারস্পরিক কথোপকথন।
Writer |
|
Publisher |
|
ISBN |
9789391579258 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
India |
Format |
Hardcover |
Pages |
144 |