আখ্যান পঞ্চাশ
আখ্যান পঞ্চাশ
1,260.00 ৳
1,400.00 ৳ (10% OFF)
দশটি উপন্যাস
দশটি উপন্যাস
1,800.00 ৳
2,000.00 ৳ (10% OFF)

তিস্তাপারের বৃত্তান্ত

https://baatighar.com/web/image/product.template/42267/image_1920?unique=49245a0
(0 review)

১৯৭০-এর দশকেরই কোন একটি সময় উত্তর বঙ্গের জলপাইগুড়ি জিলার ডুয়ার্সের তিস্তা-সন্নিহিত অঞ্চলে সেটলমেন্টের জরিপের কাজ চলছিল। ডুয়ার্সের জমি- বড়-বড় জোতে, ফরেস্ট ডিপার্ট্মেন্টের অধীনে ফরেস্টে, চা-বাগানে, হাজার রকম জটিলতার গিঁটে জড়ানো। গয়ানাথ জোতদার তেমনই এক জমির মালিক, 'গিরি'। সে ডুয়ার্সের এই সব জমিই তার দখলে রাখে ও রাখতে চায়। নদীর তলার মাটি ও বন্যায় উপড়নো শালগাছও। প্রায় সমতুল্য লোভী ও বেআইনি দখলদার এখানকার চা-বাগানগুলিও।

তিস্তার পারে রাজবংশীদের বসবাস, সাঁওতাল-কোল-মুন্ডারা চা বাগানে বেগার খাঁটে, পূর্ববঙ্গের কৃষক বসতি গাড়ে এই নদীরই চরে। গড়ে ওঠে এক বিচিত্র সমাজ। তিস্তা ব্যারাজ নিয়ে নানা জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বার্থ ও বিরোধ দানা বাঁধে, ছড়ায় রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে।

এই বিচিত্র, বিপুল, বিস্তারিত জনজীবনের এত সব বদলের ভিতর থেকে তৈরি হয়ে ওঠে বাঘারু নামে এক মানুষ। যে এখানকার আদি মানুষদের একজন। তার বাপ কে সে তা জানে না। তার মা তাকে প্রসব করেছিল গভীর ফরেস্টে। তাকে বাঁচে থাকার জন্য বাঘের সঙ্গে হাতাহাতি লড়তে হয়েছিল। এখন তার পরিচয় সে গয়ানাথ জোতদারের মানষি, বাঘারু।

মহাকাব্যিক এই আখ্যান, যার উপাদান তিস্তা নদী, তার জনপদ, আর জনপদ আঁকড়ে বাঁচা মানুষ। আর এই পটভূমিতে তিস্তার পাড়ে মহিষের পিঠে শুয়ে, তিস্তার বানে গা ভাষিয়ে বাঘারু পরিণত হয় বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য চরিত্রে।

1,350.00 ৳ 1350.0 BDT 1,500.00 ৳

1,500.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Available
ঢাকা শাখা Available
সিলেট শাখা Available
চট্টগ্রাম শাখা Available
রাজশাহী শাখা Available
Pages

591

Format

Hardcover


100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

১৯৭০-এর দশকেরই কোন একটি সময় উত্তর বঙ্গের জলপাইগুড়ি জিলার ডুয়ার্সের তিস্তা-সন্নিহিত অঞ্চলে সেটলমেন্টের জরিপের কাজ চলছিল। ডুয়ার্সের জমি- বড়-বড় জোতে, ফরেস্ট ডিপার্ট্মেন্টের অধীনে ফরেস্টে, চা-বাগানে, হাজার রকম জটিলতার গিঁটে জড়ানো। গয়ানাথ জোতদার তেমনই এক জমির মালিক, 'গিরি'। সে ডুয়ার্সের এই সব জমিই তার দখলে রাখে ও রাখতে চায়। নদীর তলার মাটি ও বন্যায় উপড়নো শালগাছও। প্রায় সমতুল্য লোভী ও বেআইনি দখলদার এখানকার চা-বাগানগুলিও। তিস্তার পারে রাজবংশীদের বসবাস, সাঁওতাল-কোল-মুন্ডারা চা বাগানে বেগার খাঁটে, পূর্ববঙ্গের কৃষক বসতি গাড়ে এই নদীরই চরে। গড়ে ওঠে এক বিচিত্র সমাজ। তিস্তা ব্যারাজ নিয়ে নানা জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বার্থ ও বিরোধ দানা বাঁধে, ছড়ায় রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে। এই বিচিত্র, বিপুল, বিস্তারিত জনজীবনের এত সব বদলের ভিতর থেকে তৈরি হয়ে ওঠে বাঘারু নামে এক মানুষ। যে এখানকার আদি মানুষদের একজন। তার বাপ কে সে তা জানে না। তার মা তাকে প্রসব করেছিল গভীর ফরেস্টে। তাকে বাঁচে থাকার জন্য বাঘের সঙ্গে হাতাহাতি লড়তে হয়েছিল। এখন তার পরিচয় সে গয়ানাথ জোতদারের মানষি, বাঘারু। মহাকাব্যিক এই আখ্যান, যার উপাদান তিস্তা নদী, তার জনপদ, আর জনপদ আঁকড়ে বাঁচা মানুষ। আর এই পটভূমিতে তিস্তার পাড়ে মহিষের পিঠে শুয়ে, তিস্তার বানে গা ভাষিয়ে বাঘারু পরিণত হয় বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য চরিত্রে।

Author image

দেবেশ রায়

দেবেশ রায় (১৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ — ১৪ মে, ২০২০) একজন আন্তর্জাতিক বাঙালি ভারতীয় সাহিত্যিক। তিস্তা পারের বৃত্তান্ত উপন্যাসটির জন্য তিনি ১৯৯০ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন। বাংলা সাহিত্যে তিনি একজন ছকভাঙা আধুনিক ঔপন্যাসিক হিসাবে পরিচিত ছিলেন। দেবেশ রায়ের জন্ম ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলায়, অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম ক্ষিতীশ রায় এবং মাতার নাম অপর্ণা রায়। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পরিবার জলপাইগুড়ি চলে আসেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৮৯ এক দশক তিনি পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তাঁর বেড়ে ওঠা উত্তরবঙ্গে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময় প্রত্যক্ষ বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতির সূত্রে শিখেছিলেন রাজবংশী ভাষা। কলকাতা শহরেও ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সে একজন গবেষণা সহকর্মী ছিলেন। তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ সালে জলার্ক পত্রিকায়। তার প্রথম উপন্যাস যযাতি। তাঁর অর্ধ শতকের বেশি সাহিত্য জীবনে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হল: যযাতি, আপাতত শান্তিকল্যাণ হয়ে আছে, মানুষ খুন করে কেন (১৯৭৬), মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), তিস্তা পারের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), তিস্তা পূরাণ, প্রতিবেদন, ইতিহাসের লোকজন, বরিশালের যোগেন মন্ডল, ইউসুফ জুলেখা , সাংবিধানিক এজলাস (২০১৯), লগন গান্ধার (১৯৯৫), দেবেশ রায়ের কর্ম এবং জীবনের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের তিস্তা নদী কেন্দ্রিক রাজবংশী সম্প্রদায়। তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর তিস্তা পারের বৃত্তান্ত উপন্যাসের জন্যে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি ভাষা সাহিত্য পরিষদ দ্বারা এবং ভুয়ালকা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন। তার অনুুবাদ রোমিয়ো জুুুলিয়েট , ট্র্রয়ের মেয়েরা ।প্রধান প্রবন্ধের বই - আঠার শতকের বাংলা গদ্য ও উপনিবেশের সমাজ ও বাংলা সাংবাদিক গদ্য, বিপরীতের বাস্তব ও রবীন্দ্রনাথের গল্প , উপন্যাস নিয়ে , উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে , ব্যক্তিপুরূষেরা , রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর আদিগদ্য , উপন্যাসের বিবিধ সংকট । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ 'সেতুবন্ধন ' পত্রিকা সম্পাদনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

Writer

দেবেশ রায়

Publisher

দে’জ পাবলিশিং

ISBN

9789390902361

Language

Bengali / বাংলা

Country

India

Format

Hardcover

First Published

1988

Pages

591