চিলমারির বন্দর
নববিবাহিত সায়রী এবং বৈদূর্য তাদের নিজের নিজের চাকরি বজায় রাখতে গিয়ে বিরহে কাতর। সায়রী কলকাতার এক সরকারি কলেজে ইতিহাস পড়ায় আর পি ডাব্লউডি-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বৈদূর্য থাকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার শহরে। ছুটি ছাটায় সেখানে গিয়ে কোচবিহারের রাজবাড়ি দেখে ও কোচ ডাইন্যাস্টির নানা খুটিনাটি তথ্যে সমৃদ্ধ হয়ে সায়রী স্থির করে কোচ রাজবংশের ওপরেই গবেষণা করবে সে। বৈদূর্যের বাড়িওয়ালা কার্তিক পাল ওপার বাংলার মানুষ। তিস্তা-তোর্সা-পদ্মা-মেঘনা ব্রহ্মপুত্রের মতো নদী হতে সাধ হয় তাঁর। কাঁটাতারের তোয়াক্কা না করে পৌঁছে যেতে ইচ্ছে করে তাঁর জন্মভূমিতে।
বৈদূর্যের পরিচারিকা তুলতুলির চরবাসী রাজবংশী মহিলা শচীবালার সঙ্গে একটা আত্মার বন্ধন সৃষ্টি হয় সায়রীর। মজা গুয়া মুখে দিয়ে তার সমাজের নানা প্রথার আভাস দেয় সে। বলে ছিটমহলবাসী আত্মীয়দের কাহিনি, যারা এপার বাংলা আর ওপার বাংলার ভেদাভেদ জানে না। শোনায় বৃষ্টির দেবতা 'হুদুম দেও’-এর গল্প। অবসর সময়ে উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া ও চট্কা গানে বিভোর হয়ে থাকে সে। ভাওয়াইয়া গান শুনতে বসেই 'চিলমারির বন্দর'-এর কথা জানতে পারে সায়রী। সেই বন্দর যেটি ব্রিটিশ আমলে রংপুর জেলার ব্রহ্মপুত্র নদীতে তিস্তামুখ ঘাটের কাছে ছিল। যে বন্দরে গাড়োয়ানেরা গোরু-মোষের গাড়ি ভরতি মাল নিয়ে যেত আর তাদের প্রিয়ারা মাসের পর মাস দয়িতের পথ চেয়ে বসে বিরহে কাতর হয়ে গাইত, 'কত রব আমি পন্থের দিকে চায়া রে...হাকাও গাড়ি তুই চিলমারির বন্দরে রে।
নববিবাহিত সায়রী এবং বৈদূর্য তাদের নিজের নিজের চাকরি বজায় রাখতে গিয়ে বিরহে কাতর। সায়রী কলকাতার এক সরকারি কলেজে ইতিহাস পড়ায় আর পি ডাব্লউডি-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বৈদূর্য থাকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার শহরে। ছুটি ছাটায় সেখানে গিয়ে কোচবিহারের রাজবাড়ি দেখে ও কোচ ডাইন্যাস্টির নানা খুটিনাটি তথ্যে সমৃদ্ধ হয়ে সায়রী স্থির করে কোচ রাজবংশের ওপরেই গবেষণা করবে সে। বৈদূর্যের বাড়িওয়ালা কার্তিক পাল ওপার বাংলার মানুষ। তিস্তা-তোর্সা-পদ্মা-মেঘনা ব্রহ্মপুত্রের মতো নদী হতে সাধ হয় তাঁর। কাঁটাতারের তোয়াক্কা না করে পৌঁছে যেতে ইচ্ছে করে তাঁর জন্মভূমিতে। বৈদূর্যের পরিচারিকা তুলতুলির চরবাসী রাজবংশী মহিলা শচীবালার সঙ্গে একটা আত্মার বন্ধন সৃষ্টি হয় সায়রীর। মজা গুয়া মুখে দিয়ে তার সমাজের নানা প্রথার আভাস দেয় সে। বলে ছিটমহলবাসী আত্মীয়দের কাহিনি, যারা এপার বাংলা আর ওপার বাংলার ভেদাভেদ জানে না। শোনায় বৃষ্টির দেবতা 'হুদুম দেও’-এর গল্প। অবসর সময়ে উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া ও চট্কা গানে বিভোর হয়ে থাকে সে। ভাওয়াইয়া গান শুনতে বসেই 'চিলমারির বন্দর'-এর কথা জানতে পারে সায়রী। সেই বন্দর যেটি ব্রিটিশ আমলে রংপুর জেলার ব্রহ্মপুত্র নদীতে তিস্তামুখ ঘাটের কাছে ছিল। যে বন্দরে গাড়োয়ানেরা গোরু-মোষের গাড়ি ভরতি মাল নিয়ে যেত আর তাদের প্রিয়ারা মাসের পর মাস দয়িতের পথ চেয়ে বসে বিরহে কাতর হয়ে গাইত, 'কত রব আমি পন্থের দিকে চায়া রে...হাকাও গাড়ি তুই চিলমারির বন্দরে রে।
Writer |
|
Publisher |
|
ISBN |
9789384265595 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
India |
Format |
Hardcover |
Pages |
142 |