১৯৫৪, মৃত্যু বছরের শেষ খাতা
জীবনানন্দ তাঁর জীবনের শেষ ছ’বছর প্রকৃত প্রস্তাবে কোনও ডায়েরি লেখেননি, কবিতা প্রায় না। জীবনের শেষ খাতাগুলি তাঁর ভরে রয়েছে কেজো, বিষণ্ণ, মরিয়া সব টুকরো লেখায় – কার ধার শোধ করতে হবে, কোথা থেকে নতুন করে ধার জোগাড় করা যাবে কিংবা চাকরির জন্য কাকে ধরবেন তার পরিকল্পনা, না পাঠিয়ে ওঠা চিঠির মুসাবিদা, প্রকাশ পাবে না এরকম সব বইয়ের সূচিপত্র আর সাহিত্য বিষয়ে এলোমেলো নোট কিছু, ভবিষ্যতের কোনও উপন্যাসের পয়েন্টস হয়তো বা। প্রতিষ্ঠান, প্রকাশক, বন্ধু, আত্মীয় সকলের কাছে নিজেকে নত করেছেন, হীন করেছেন শুধু লিখে বেঁচে থাকার জন্য, বিফল হয়েছেন, ক্ষয়ে গেছেন, আলো কমে এসেছে ক্রমে। শেষ পর্যন্ত ট্রামের নিচে চলে গেছেন। কিন্তু, যাবার আগে এ-বিশ্বাসটা গাঢ় ভাবে ধারণ করেছেন যে, যদিও কাটাতে হচ্ছে এখন 'উইদাউট ফুড', ভবিষ্যতে কোনও এক দিন ভালো দিন আসবে, তাঁর লেখার যথার্থ মূল্য নির্ধারিত হবে, কিন্তু সে-দিন তিনি এ পৃথিবীতে থাকবেন না।
১৯৫৪-র শেষ খাতাখানি সেই খড়কুটো ধরে বাঁচতে চাওয়া আর নিঃশেষ হয়ে যাওয়া মৃত্যুবছরের দমবন্ধ হয়ে আসা দলিল।
জীবনানন্দ তাঁর জীবনের শেষ ছ’বছর প্রকৃত প্রস্তাবে কোনও ডায়েরি লেখেননি, কবিতা প্রায় না। জীবনের শেষ খাতাগুলি তাঁর ভরে রয়েছে কেজো, বিষণ্ণ, মরিয়া সব টুকরো লেখায় – কার ধার শোধ করতে হবে, কোথা থেকে নতুন করে ধার জোগাড় করা যাবে কিংবা চাকরির জন্য কাকে ধরবেন তার পরিকল্পনা, না পাঠিয়ে ওঠা চিঠির মুসাবিদা, প্রকাশ পাবে না এরকম সব বইয়ের সূচিপত্র আর সাহিত্য বিষয়ে এলোমেলো নোট কিছু, ভবিষ্যতের কোনও উপন্যাসের পয়েন্টস হয়তো বা। প্রতিষ্ঠান, প্রকাশক, বন্ধু, আত্মীয় সকলের কাছে নিজেকে নত করেছেন, হীন করেছেন শুধু লিখে বেঁচে থাকার জন্য, বিফল হয়েছেন, ক্ষয়ে গেছেন, আলো কমে এসেছে ক্রমে। শেষ পর্যন্ত ট্রামের নিচে চলে গেছেন। কিন্তু, যাবার আগে এ-বিশ্বাসটা গাঢ় ভাবে ধারণ করেছেন যে, যদিও কাটাতে হচ্ছে এখন 'উইদাউট ফুড', ভবিষ্যতে কোনও এক দিন ভালো দিন আসবে, তাঁর লেখার যথার্থ মূল্য নির্ধারিত হবে, কিন্তু সে-দিন তিনি এ পৃথিবীতে থাকবেন না। ১৯৫৪-র শেষ খাতাখানি সেই খড়কুটো ধরে বাঁচতে চাওয়া আর নিঃশেষ হয়ে যাওয়া মৃত্যুবছরের দমবন্ধ হয়ে আসা দলিল।
Writer |
|
Publisher |
|
ISBN |
9788195503179 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
India |
Format |
Hardcover |
Pages |
87 |