২৩ জুন, ১৭৫৭ তে পলাশির সূর্যাস্ত কোনো আপতিক ঘটনা নয় বরং তা ষোড়শ শতাব্দী থেকে ইউরোপে পুঁজির কেন্দ্রীকরণের সাথে এক সুতোয় বাঁধা। উপনিবেশের পত্তনের প্রথম দিন থেকেই নিরন্তর লুঠের সাথে পাশাপাশি চলতে থাকে বস্তু সহ কারিগর ভিত্তিক শিল্পের ধ্বংসলীলা এবং দোসর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কল্যাণে দেশের নানা প্রান্তে একের পর এক মন্বন্তর ও নিষ্ঠুর নিধন যজ্ঞ। এই লুঠের মাত্রাকে তরান্বিত করা ও সামরিক ভাবে বিশাল এই দেশকে নিজেদের কবজায় আনার জন্যই মূলত এ দেশের রেলের প্রবর্তন। তৎকালীন এ দেশের শাসক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ব্রিটিশ সরকারের বদান্যতায় ভারতবর্ষে রেলের যাত্রা শুরু হয় সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি পুঁজির হাত ধরে, যার প্রায় পুরোটারই উৎস ব্রিটেনের স্টক মার্কেট। সেই পুঁজির এ দেশে বিনিয়োগের মূল কারণই হল বিনিয়োগকৃত পুঁজির ওপর ৫% নিশ্চিত রিটার্ন যা আবার জোগাড় করা হবে এ দেশের নিরন্ন মানুষের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে! এর ওপর ভারতীয় রেল ইঞ্জিন থেকে ক্ষুদ্রতম যন্ত্রের জন্যও ছিল ব্রিটেন থেকে আমদানি নির্ভরতা। ইংল্যান্ডের নানা স্তরের মানুষের বিনিয়োগ ছিল এই লোভনীয় প্রকল্পে যার মধ্যে পৃথিবীর ধনীতম পরিবার হিসেবে পরিচিত রথসচাইল্ডও বাদ যায় না। আর্থিক লুঠের সাথে সাথে রেলের প্রবর্তন ও বিস্তারের স্বার্থে চলতে থাকল নির্বিচারে অরণ্য নিধন, বদলে যেতে থাকল হিমালয় সংলগ্ন এলাকার ভূপ্রকৃতি। রেলের যাত্রীবহন বাবদ আয়ের ৯০% আসত থার্ড ক্লাস-এর যাত্রীদের থেকে যারা মূলত দরিদ্র ভারতীয় কিন্তু তাদের প্রতিই করা হত অমানবিক জাতিগত বৈষম্য যা নিয়ে পরবর্তীতে সরব হতে দেখা যায় সে সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গান্ধিজিকেও। ন্যূনতম সুবিধার অভাবে থার্ড ক্লাসের যাত্রীদের নানা ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হত যা চরমে ওঠে প্লেগ ও কলেরা মহামারির সময়। এমনকি ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষেত্রেও রেলের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। সব মিলিয়ে এ দেশে রেলের প্রবর্তন ছিল সব দিক থেকেই ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা ও সে দেশের অর্থনীতির ফুলে ফেঁপে ওঠার লক্ষ্যে।
২৩ জুন, ১৭৫৭ তে পলাশির সূর্যাস্ত কোনো আপতিক ঘটনা নয় বরং তা ষোড়শ শতাব্দী থেকে ইউরোপে পুঁজির কেন্দ্রীকরণের সাথে এক সুতোয় বাঁধা। উপনিবেশের পত্তনের প্রথম দিন থেকেই নিরন্তর লুঠের সাথে পাশাপাশি চলতে থাকে বস্তু সহ কারিগর ভিত্তিক শিল্পের ধ্বংসলীলা এবং দোসর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কল্যাণে দেশের নানা প্রান্তে একের পর এক মন্বন্তর ও নিষ্ঠুর নিধন যজ্ঞ। এই লুঠের মাত্রাকে তরান্বিত করা ও সামরিক ভাবে বিশাল এই দেশকে নিজেদের কবজায় আনার জন্যই মূলত এ দেশের রেলের প্রবর্তন। তৎকালীন এ দেশের শাসক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ব্রিটিশ সরকারের বদান্যতায় ভারতবর্ষে রেলের যাত্রা শুরু হয় সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি পুঁজির হাত ধরে, যার প্রায় পুরোটারই উৎস ব্রিটেনের স্টক মার্কেট। সেই পুঁজির এ দেশে বিনিয়োগের মূল কারণই হল বিনিয়োগকৃত পুঁজির ওপর ৫% নিশ্চিত রিটার্ন যা আবার জোগাড় করা হবে এ দেশের নিরন্ন মানুষের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে! এর ওপর ভারতীয় রেল ইঞ্জিন থেকে ক্ষুদ্রতম যন্ত্রের জন্যও ছিল ব্রিটেন থেকে আমদানি নির্ভরতা। ইংল্যান্ডের নানা স্তরের মানুষের বিনিয়োগ ছিল এই লোভনীয় প্রকল্পে যার মধ্যে পৃথিবীর ধনীতম পরিবার হিসেবে পরিচিত রথসচাইল্ডও বাদ যায় না। আর্থিক লুঠের সাথে সাথে রেলের প্রবর্তন ও বিস্তারের স্বার্থে চলতে থাকল নির্বিচারে অরণ্য নিধন, বদলে যেতে থাকল হিমালয় সংলগ্ন এলাকার ভূপ্রকৃতি। রেলের যাত্রীবহন বাবদ আয়ের ৯০% আসত থার্ড ক্লাস-এর যাত্রীদের থেকে যারা মূলত দরিদ্র ভারতীয় কিন্তু তাদের প্রতিই করা হত অমানবিক জাতিগত বৈষম্য যা নিয়ে পরবর্তীতে সরব হতে দেখা যায় সে সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গান্ধিজিকেও। ন্যূনতম সুবিধার অভাবে থার্ড ক্লাসের যাত্রীদের নানা ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হত যা চরমে ওঠে প্লেগ ও কলেরা মহামারির সময়। এমনকি ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষেত্রেও রেলের উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। সব মিলিয়ে এ দেশে রেলের প্রবর্তন ছিল সব দিক থেকেই ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা ও সে দেশের অর্থনীতির ফুলে ফেঁপে ওঠার লক্ষ্যে।