মণিমঞ্জুষা : বুদ্ধজীবনের আট মহিয়সী নারী
প্ৰাক্ কথন থেকে : বৌদ্ধযুগ স্বয়ং বুদ্ধের চেয়েও কৌতূহলপ্রদ। সেই কৌতূহলের একটা বিন্দু হল সেই সময়ের মেয়েরা। এঁরা রীতিমতো পড়াশোনা শিখতেন, চর্চাও করতেন। নটীদের তো কথাই নেই। তাঁদের তো চৌষট্টি কলা শেখানো হত। বণিকের মেয়ে, হিসাবরক্ষণ তো শিখছেনই, সঙ্গে সঙ্গে মল্লযুদ্ধও তাঁর শেখার বিষয়। বণিকের স্ত্রী তাঁর ছোটবেলায় রাজা বিম্বিসারের সঙ্গে এক পাঠশালায় পড়েছেন, মারামারিও করেছেন। কোলিয় দেশ বা বংশের রাজকুমারী অস্ত্র শিক্ষাতেও সমান পারদর্শী প্রমাণ করলেন নিজেকে, তারপর সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। আরো অনেক এমন উদাহরণ আছে। এঁরা শিক্ষিত তো বটেই, স্বভাবতই অনেকে প্রতিভাসম্পন্নও হতেন।
তাঁদের ট্রাজেডি হল তাঁদের কোনো জীবিকা ছিল না। হয় দাসী, নয় বারবধূ। এবং পুরুষ সমাজ ইচ্ছে করে দু'রকম নারীর ব্যবস্থা রাখতেন সমাজে। ঘরসংসার করবে, সন্তানের জন্ম দেবে – গৃহবধূ, আর কবিতা সঙ্গীত শাস্ত্রালোচনা ইত্যাদির জন্য থাকবে বারবধূ। দুজনেই ভোগ্যা। এই দ্বৈধতার ইতিহাস বহুদিনের। গৃহকর্ম অসহ্য মনে হওয়ায় নারী প্রব্রজ্যা নিচ্ছেন, এ রকম উদাহরণও আছে ভূরি ভূরি। আবার বয়স হয়ে আগেকার শ্রী নেই, সম্মান বা চাহিদাও নেই, ইনিও প্রব্রজ্যা নিচ্ছেন ।
এই পথটা গৌতম খুলে দিয়েছিলেন। এই রকম ৭৩ জন থেরী বা স্থবিরা বা নান এর লেখা পদ্য পাওয়া যায় থেরিগাথায়। এই সব উৎস থেকে তাঁদের মনস্তত্ত্ব, চরিত্র, সামাজিক অবস্থান নিয়ে যন্ত্রণার কথা জানা যায়।
আশা করি এই সংকলন থেকে এমনই একটি বিশ্লেষণমূলক কথা ও কাহিনি পাব আমরা। সাহিত্যও হবে, ইতিহাসও হবে।
জয়তু।
বাণী বসু
কলকাতা
অগাস্ট ২০২০
প্ৰাক্ কথন থেকে : বৌদ্ধযুগ স্বয়ং বুদ্ধের চেয়েও কৌতূহলপ্রদ। সেই কৌতূহলের একটা বিন্দু হল সেই সময়ের মেয়েরা। এঁরা রীতিমতো পড়াশোনা শিখতেন, চর্চাও করতেন। নটীদের তো কথাই নেই। তাঁদের তো চৌষট্টি কলা শেখানো হত। বণিকের মেয়ে, হিসাবরক্ষণ তো শিখছেনই, সঙ্গে সঙ্গে মল্লযুদ্ধও তাঁর শেখার বিষয়। বণিকের স্ত্রী তাঁর ছোটবেলায় রাজা বিম্বিসারের সঙ্গে এক পাঠশালায় পড়েছেন, মারামারিও করেছেন। কোলিয় দেশ বা বংশের রাজকুমারী অস্ত্র শিক্ষাতেও সমান পারদর্শী প্রমাণ করলেন নিজেকে, তারপর সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। আরো অনেক এমন উদাহরণ আছে। এঁরা শিক্ষিত তো বটেই, স্বভাবতই অনেকে প্রতিভাসম্পন্নও হতেন। তাঁদের ট্রাজেডি হল তাঁদের কোনো জীবিকা ছিল না। হয় দাসী, নয় বারবধূ। এবং পুরুষ সমাজ ইচ্ছে করে দু'রকম নারীর ব্যবস্থা রাখতেন সমাজে। ঘরসংসার করবে, সন্তানের জন্ম দেবে – গৃহবধূ, আর কবিতা সঙ্গীত শাস্ত্রালোচনা ইত্যাদির জন্য থাকবে বারবধূ। দুজনেই ভোগ্যা। এই দ্বৈধতার ইতিহাস বহুদিনের। গৃহকর্ম অসহ্য মনে হওয়ায় নারী প্রব্রজ্যা নিচ্ছেন, এ রকম উদাহরণও আছে ভূরি ভূরি। আবার বয়স হয়ে আগেকার শ্রী নেই, সম্মান বা চাহিদাও নেই, ইনিও প্রব্রজ্যা নিচ্ছেন । এই পথটা গৌতম খুলে দিয়েছিলেন। এই রকম ৭৩ জন থেরী বা স্থবিরা বা নান এর লেখা পদ্য পাওয়া যায় থেরিগাথায়। এই সব উৎস থেকে তাঁদের মনস্তত্ত্ব, চরিত্র, সামাজিক অবস্থান নিয়ে যন্ত্রণার কথা জানা যায়। আশা করি এই সংকলন থেকে এমনই একটি বিশ্লেষণমূলক কথা ও কাহিনি পাব আমরা। সাহিত্যও হবে, ইতিহাসও হবে। জয়তু। বাণী বসু কলকাতা অগাস্ট ২০২০
Publisher |
|
ISBN |
9788194477365 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
Bangladesh |
Format |
Hardcover |
Pages |
103 |