মেয়েদের চোরাগোপ্তা স্ল্যংঃ শরীর এবং অন্যান্য আলাপ
‘‘আমাদের জীবনের শিক্ষিত শোভন সংস্করণে স্ল্যাংয়ের কোনও পাঠ না থাকলেও আমরা জানি এর চোরাগোপ্তা স্রোত আছে। কোনও কোনও দাম্পত্যের নিরীহ শোভন সংস্করণে স্ল্যাং তো একটি নিত্য-ব্যবহার্য আসবাব। আমাদের জীবনে যুগপৎ যৌনতা আছে এবং একটা ধরি-মাছ-না-ছুঁই-পানি গোছের ন্যাকান্যাকা ভাবও আছে।’’ এই বইটি স্ল্যাং-এর অভিধান নয়, তেমন বই এর আগেই লেখা হয়েছে। একে বলা চলে ভাষায় স্ল্যাং ব্যবহারের একটি নিবিড় অনুসন্ধান। এই স্ল্যাং কখনও রহস্যময় পরিভাষা, কখনও আদিরসাত্মক উল্লাস-কৌতুক, কখনও স্রেফ খিস্তি। কাদের মধ্যে, কোন পরিবেশে, কী প্রসঙ্গে ভাষার ভিতরে আর এক ভাষা গড়ে ওঠে, যা অজানা থাকলে জনজীবনের অনেকটা অধরা রয়ে যায়। লেখক তৃপ্তি সান্ত্রা যথার্থই বলছেন, স্ল্যাং-এর সবটাই অশ্লীল নয়, কোথাও গ্রামের মেয়েরা কোনও বিয়ের আগে-পরে যে গান গায় তাতে যৌনাঙ্গের, যৌনমিলনের উল্লেখ থাকলেও তা পর্নোগ্রাফি নয়, ‘খণ্ড জীবনাচরণের উল্লাস’। অন্যত্র বলছেন, স্ল্যাং, অপভাষা, ইতর ভাষা, এদেরকে অনাচারিক ভাষা বা ইনফর্মাল স্পিচ বলা যায়। অপরাধ জগতের ভাষা, হিজড়ে বা বেশ্যাপাড়ার ভাষা তার নিদর্শন। চর্যাপদের সঙ্কেত বা সান্ধ্যভাষাও স্থান পেয়েছে এই আলোচনায়, যেখানে প্রচলিত শব্দের গূঢ় অর্থ তৈরি করেছেন চর্যাগীতির কবিরা।
এই বইটি নানা সময়ে লেখা প্রবন্ধের সঙ্কলন, যার অনেকগুলির বিষয় নারীর যৌনজীবন, যা নিয়ে কেউ কেউ মুখের কথায় তুফান ছোটালেও লেখালিখিতে তার প্রতিফলন হয় সামান্যই। রয়েছে এমন লেখাও, যা ঠিক ভাষার বিশ্লেষণ নয়, সমাজে মেয়েদের অবদমনের রকমফের নিয়ে কলামধর্মী লেখা। তার অনেকগুলি বেশ প্রচলিত আলোচনার সীমাভাঙা লেখা, মেয়েদের অতৃপ্ত যৌনবাসনা, স্বমেহন, সমকামিতা, ঋতুস্রাব-আশ্রয়ী যৌনতা নিয়ে। সঙ্গমে ছেলেদের অসামর্থ্য একটি ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়, তাই মেয়েদের সাঙ্কেতিক ভাষায় তা নিয়ে কৌতুক-জড়ানো আক্ষেপ। শেষে রয়েছে বেশ কিছু সাক্ষাৎকার: মেয়েদের যৌনতা, নারীত্বের ধারণা নিয়ে নানা বয়সের নারীদের সঙ্গে। - আনন্দবাজার পত্রিকা।
‘‘আমাদের জীবনের শিক্ষিত শোভন সংস্করণে স্ল্যাংয়ের কোনও পাঠ না থাকলেও আমরা জানি এর চোরাগোপ্তা স্রোত আছে। কোনও কোনও দাম্পত্যের নিরীহ শোভন সংস্করণে স্ল্যাং তো একটি নিত্য-ব্যবহার্য আসবাব। আমাদের জীবনে যুগপৎ যৌনতা আছে এবং একটা ধরি-মাছ-না-ছুঁই-পানি গোছের ন্যাকান্যাকা ভাবও আছে।’’ এই বইটি স্ল্যাং-এর অভিধান নয়, তেমন বই এর আগেই লেখা হয়েছে। একে বলা চলে ভাষায় স্ল্যাং ব্যবহারের একটি নিবিড় অনুসন্ধান। এই স্ল্যাং কখনও রহস্যময় পরিভাষা, কখনও আদিরসাত্মক উল্লাস-কৌতুক, কখনও স্রেফ খিস্তি। কাদের মধ্যে, কোন পরিবেশে, কী প্রসঙ্গে ভাষার ভিতরে আর এক ভাষা গড়ে ওঠে, যা অজানা থাকলে জনজীবনের অনেকটা অধরা রয়ে যায়। লেখক তৃপ্তি সান্ত্রা যথার্থই বলছেন, স্ল্যাং-এর সবটাই অশ্লীল নয়, কোথাও গ্রামের মেয়েরা কোনও বিয়ের আগে-পরে যে গান গায় তাতে যৌনাঙ্গের, যৌনমিলনের উল্লেখ থাকলেও তা পর্নোগ্রাফি নয়, ‘খণ্ড জীবনাচরণের উল্লাস’। অন্যত্র বলছেন, স্ল্যাং, অপভাষা, ইতর ভাষা, এদেরকে অনাচারিক ভাষা বা ইনফর্মাল স্পিচ বলা যায়। অপরাধ জগতের ভাষা, হিজড়ে বা বেশ্যাপাড়ার ভাষা তার নিদর্শন। চর্যাপদের সঙ্কেত বা সান্ধ্যভাষাও স্থান পেয়েছে এই আলোচনায়, যেখানে প্রচলিত শব্দের গূঢ় অর্থ তৈরি করেছেন চর্যাগীতির কবিরা। এই বইটি নানা সময়ে লেখা প্রবন্ধের সঙ্কলন, যার অনেকগুলির বিষয় নারীর যৌনজীবন, যা নিয়ে কেউ কেউ মুখের কথায় তুফান ছোটালেও লেখালিখিতে তার প্রতিফলন হয় সামান্যই। রয়েছে এমন লেখাও, যা ঠিক ভাষার বিশ্লেষণ নয়, সমাজে মেয়েদের অবদমনের রকমফের নিয়ে কলামধর্মী লেখা। তার অনেকগুলি বেশ প্রচলিত আলোচনার সীমাভাঙা লেখা, মেয়েদের অতৃপ্ত যৌনবাসনা, স্বমেহন, সমকামিতা, ঋতুস্রাব-আশ্রয়ী যৌনতা নিয়ে। সঙ্গমে ছেলেদের অসামর্থ্য একটি ‘নিষিদ্ধ’ বিষয়, তাই মেয়েদের সাঙ্কেতিক ভাষায় তা নিয়ে কৌতুক-জড়ানো আক্ষেপ। শেষে রয়েছে বেশ কিছু সাক্ষাৎকার: মেয়েদের যৌনতা, নারীত্বের ধারণা নিয়ে নানা বয়সের নারীদের সঙ্গে। - আনন্দবাজার পত্রিকা।
Writer |
|
Publisher |
|
ISBN |
9788194029519 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
India |
Format |
Hardcover |
First Published |
January 2019 |
Pages |
229 |