বাংলাভাষার আধুনিক সময়ের অন্যতম নাট্যকার সেলিম আল দীন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার উপর গবেষণা করেছেন। ১৯৪৯ সালের ১৮ই আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। টাঙ্গাইলের করোটিয়ায় সাদত কলেজ থেকে স্নাতক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যযুগের বাঙলা নাট্য এর উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন সেলিম আল দীন।
তার উল্লেখযোগ্য নাটক: শকুন্তলা(১৯৭৮), কীত্তনখোলা (১৯৮০), যৈবতী কন্যার মন (১৯৯৩), চাকা (১৯৯১), পুত্র (২০০৮)
প্রভৃতি। বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্রের নানা দিকে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি লাভ করেছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, মুনীর চৌধুরী সম্মাননা সহ নানা পদক। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ সংলাপ ও কাহিনীর জন্য দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান সেলিম আল দীন।
তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে তাকে সমাহিত করা হয়।
সাইমন জাকারিয়া (জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৯৭২) একজন বাংলাদেশি লোক সংস্কৃতি গবেষক এবং নাট্যকার যিনি বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগের সহপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লোকাচার বিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।সাইমন ১৯৭২ সালের ৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জুঙ্গলি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে ‘বাংলাদেশের লোকায়ত রামায়ণের রাম সীতা চরিত্র’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনার জন্য এমফিল এবং ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্য: বিষয় ও ভাষারীতি’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।