সৌম্যকান্তি দত্ত (১৯১৮-২০০২) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলা সাহিত্যিক, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক। তিনি ১৯১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চণ্ডীতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা এবং প্রতিভা তাঁকে বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার এক উল্লেখযোগ্য নাম, যার কাজ বাংলা সাহিত্যকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং অনুভবের সাথে সমৃদ্ধ করেছে। সৌম্যকান্তি দত্ত তাঁর সাহিত্য জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কবিতা, গল্প এবং প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত বই অবনঠাকুর বাংলা সাহিত্যে একটি অত্যন্ত মূল্যবান সংযোজন হিসেবে গণ্য হয়। বইটি তাঁর সৃষ্টির এক অনবদ্য নিদর্শন, যেখানে তিনি সমাজ, ধর্ম এবং মানুষের জীবনের নানা দিক নিয়ে গভীর চিন্তা এবং বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর কবিতায় মরমী দর্শন এবং মানুষের অস্তিত্বের প্রশ্নগুলি উঠে এসেছে, যা পাঠকদের কাছে চিরকালীন প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। সৌম্যকান্তি দত্তের কবিতা সাধারণত মানুষের আত্মা, জীবন ও মহাজাগতিক সম্পর্কের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। তিনি ২০০২ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর রচিত সাহিত্য আজও বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মধ্যে প্রভাব ফেলছে এবং তার নাম চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।
সৌরদীপ বন্দোপাধ্যায় একজন বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক, গবেষক এবং অনুবাদক, যিনি মূলত তাঁর সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র সমালোচনা নিয়ে পরিচিত। তিনি ১৯৬০ সালের ১৫ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। লেখক হিসেবে সৌরদীপ বন্দোপাধ্যায়ের কাজ বাংলা সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র সমালোচনায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। বিশেষ করে তাঁর লেখা "রেখায় সত্যজিৎ, লেখায় সুনীল" বইটি বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এই বইটিতে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি, সত্যজিৎ রায় এবং বাংলা সাহিত্যের এক অদ্বিতীয় লেখক, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর গভীর বিশ্লেষণ করেছেন। "রেখায় সত্যজিৎ, লেখায় সুনীল" বইটিতে সৌরদীপ বন্দোপাধ্যায় সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্য রচনার মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক এবং সৃষ্টির গভীরতা তুলে ধরেছেন। তিনি দুটি একেবারে ভিন্নধর্মী সৃষ্টিশীল জগতের সংযোগ স্থাপন করেছেন, যা বাংলা সাহিত্য এবং চলচ্চিত্রের মিলনকেন্দ্র সৃষ্টি করেছে। তাঁর সমালোচনা এবং বিশ্লেষণ শৈলী শিক্ষণীয় এবং চিন্তা উদ্রেককারী, যা বাংলা সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র সমালোচনায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। সৌরদীপ বন্দোপাধ্যায় সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর রচনা আজও বাংলার পাঠকদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে।