গুণীজন কহেন
সাড়্গাৎকার সাহিত্যের একটি অন্যতম ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। পারস্পরিক কথোপকথনের মাধ্যমে একটি কঠিন কথাকে যত সহজে বলা যায়, সাহিত্যের অন্য কোনো মাধ্যমে তা হয়ত বলা যায় না। প্রবন্ধে, স্মৃতিকথায়, গল্পে কিংবা উপন্যাসে বক্তব্যকে আড়াল করা যায়, রাখঢাক করা যায়। মনের যে গোপন কথাটি ভেতরে ঘুরপাক খায় তা হঠাৎ বেরিয়ে গেলেও আপত্তি নেই, পরে সেটাকে কাটছাঁট করা যায়, অথবা বাদও দেয়া যায়। কিন্তু সাড়্গাৎকারে সেরকম কোনো সুযোগ নেই। টেপরেকর্ডারের সামনে ভাবাভাবির ফুরসৎ থাকে না, প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে ঝটপট জবাব দিয়ে দিতে হয়। ফলে উত্তরদাতা ব্যক্তিগতভাবে কী ভাবেন, কী লালন করেন, কী বিশ্বাস করেন কিংবা তাঁর ব্যক্তিগত চিšত্মাভাবনা, দর্শন কীÑ তার নির্যাসটা অনায়াসে বেরিয়ে আসে। নিজস্ব অভিজ্ঞতায় আমার কাছে এটাই সাড়্গাৎকারের মাহাত¥্য বলে মনে হয়। এর কারণে সাড়্গাৎকার কখনো কখনো হয়ে ওঠে ইতিহাসের দলিল, প্রতিফলিত হয় সময়ের অভিঘাত। বাংলাদেশের শীর্ষ চৌদ্দ গুণী ব্যক্তিত্বের সাড়্গাৎকারভিত্তিক গ্রন্থ ‘গুণীজন কহেন’। নানা কারণে এই সাড়্গাৎকারগুলো গুরম্নত্বপূর্ণ। যাঁদের সাড়্গাৎকার নিয়ে এই গ্রন্থ, তাঁরা একেকজন নিঃসন্দেহে মহীরূহ। তাঁরা আমাদের নমস্য। ব্যক্তির গ-ি ছাড়িয়ে তাঁরা একেকটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। জ্ঞানচর্চার একনিষ্ঠ সাধক তাঁরা। বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির জগতে তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। প্রত্যেকেই কিংবদšিত্মতুল্য ব্যক্তিত্ব। উত্তরপ্রজন্মের দিকদর্শন বাতি। তাঁদের মুখনিঃসৃত প্রতিটি বাক্য আমাদের জন্য অমৃতসম। তাঁদের চিšত্মাচেতনা এবং কর্মযজ্ঞ আমাদের চলার পথের পাথেয়। জ্ঞানচর্চার পথে তাঁরা প্রতিনিয়ত আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।
সাড়্গাৎকার সাহিত্যের একটি অন্যতম ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। পারস্পরিক কথোপকথনের মাধ্যমে একটি কঠিন কথাকে যত সহজে বলা যায়, সাহিত্যের অন্য কোনো মাধ্যমে তা হয়ত বলা যায় না। প্রবন্ধে, স্মৃতিকথায়, গল্পে কিংবা উপন্যাসে বক্তব্যকে আড়াল করা যায়, রাখঢাক করা যায়। মনের যে গোপন কথাটি ভেতরে ঘুরপাক খায় তা হঠাৎ বেরিয়ে গেলেও আপত্তি নেই, পরে সেটাকে কাটছাঁট করা যায়, অথবা বাদও দেয়া যায়। কিন্তু সাড়্গাৎকারে সেরকম কোনো সুযোগ নেই। টেপরেকর্ডারের সামনে ভাবাভাবির ফুরসৎ থাকে না, প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে ঝটপট জবাব দিয়ে দিতে হয়। ফলে উত্তরদাতা ব্যক্তিগতভাবে কী ভাবেন, কী লালন করেন, কী বিশ্বাস করেন কিংবা তাঁর ব্যক্তিগত চিšত্মাভাবনা, দর্শন কীÑ তার নির্যাসটা অনায়াসে বেরিয়ে আসে। নিজস্ব অভিজ্ঞতায় আমার কাছে এটাই সাড়্গাৎকারের মাহাত¥্য বলে মনে হয়। এর কারণে সাড়্গাৎকার কখনো কখনো হয়ে ওঠে ইতিহাসের দলিল, প্রতিফলিত হয় সময়ের অভিঘাত। বাংলাদেশের শীর্ষ চৌদ্দ গুণী ব্যক্তিত্বের সাড়্গাৎকারভিত্তিক গ্রন্থ ‘গুণীজন কহেন’। নানা কারণে এই সাড়্গাৎকারগুলো গুরম্নত্বপূর্ণ। যাঁদের সাড়্গাৎকার নিয়ে এই গ্রন্থ, তাঁরা একেকজন নিঃসন্দেহে মহীরূহ। তাঁরা আমাদের নমস্য। ব্যক্তির গ-ি ছাড়িয়ে তাঁরা একেকটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। জ্ঞানচর্চার একনিষ্ঠ সাধক তাঁরা। বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির জগতে তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। প্রত্যেকেই কিংবদšিত্মতুল্য ব্যক্তিত্ব। উত্তরপ্রজন্মের দিকদর্শন বাতি। তাঁদের মুখনিঃসৃত প্রতিটি বাক্য আমাদের জন্য অমৃতসম। তাঁদের চিšত্মাচেতনা এবং কর্মযজ্ঞ আমাদের চলার পথের পাথেয়। জ্ঞানচর্চার পথে তাঁরা প্রতিনিয়ত আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন।
Writer |
|
Publisher |
|
ISBN |
55006000000062 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
Bangladesh |
Format |
Hardcover |
First Published |
2012 |