কপিলাবস্তুর কলস
বুদ্ধের চিতার হাড়।
দিল্লীর জানুয়ারির শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে ন্যাশনাল মিউজিয়ামের প্রদর্শনীতে রােজ দর্শকের ভিড় উপছে পড়ছে। কাষায় বস্ত্রে শরীর আচ্ছাদন করে ভারতীয় বৌদ্ধরা তাে দলে দলে আসছেই, তাছাড়াও সিংহল, থাইল্যাণ্ড, নেপাল, ভুটান, চিন, জাপান থেকেও অনেক বৌদ্ধ লামা আসছে শাক্যমুনির শরীরধাতু দর্শন করে পুণ্য অর্জন করতে। এছাড়াও আসছে অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ, বিভিন্ন রাষ্ট্রের ডিপ্লোমেটিক লুমিনারিস, নানা ঐতিহাসিক, এবং পুরাতত্ত্বের ছাত্র- ছাত্রীরা। গত এক সপ্তাহ প্রদর্শনী ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু ঝামেলাটা আজ বাধল চিনের সরকারি প্রতিনিধিদলের আগমনে।
গ্যালারিতে চিনের হাই পাওয়ার ডেলিগেশন, তাই মিউজিয়ামের কিউরেটার তাে বটেই, এমনকি খােদ অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল এসে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে। ঢিমেতালে এগােচ্ছে আজকের দর্শনার্থীরা। একদল লামা অস্থিকলসের দিকে ভক্তিতে মাথা নুইয়ে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাতে জানাতে এত ধীরে ধীরে এগােচ্ছিল যে অধৈর্য এডিজি'র মনে হচ্ছিল যেন কাঁচের দেওয়ালের ওপাশে জীবিত বুদ্ধ বসে এবং তাকে ভক্তরা অ্যাটেণ্ডেন্স জানাচ্ছে। হাড় ছাড়াও বুদ্ধের ব্যবহৃত রক্তচন্দন কাঠের যষ্টি, সাঁচী থেকে আনা সারিপুত্র ও মৌদগল্যায়নের দেহধাতু, চীবর, পােড়ামাটির অর্ধভগ্ন মালসা, সিলমােহর, তিব্বতের পােটালা থেকে আনা দালাই লামার উপহার তাঞ্জুর ও কাঞ্জুর পুঁথির পাতা ইত্যাদি এনে গ্যালারিতে একটা প্রাচীনত্বের অ্যামবিয়েন্স ক্রিয়েট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সামনের এপ্রিলে নিউ ইয়র্কে ইউনাইটেড নেশনসে চিনের সমর্থনপুষ্ট নেপালের সঙ্গে ভারতের কপিলাবস্তু সম্পর্কে যে তুমুল ডিবেট হবে তারই প্রস্তুতি এটা।
গােটা গ্যালারিতে অখণ্ড নীরবতা, কখনাে কেউ উত্তেজনায় ফিসফিস করে কথা বললে তা গ্যালারির অন্য কোণ থেকে শােনা যাচ্ছে। লামারা একে একে এগিয়ে চলেছে। এবার একজন বৃদ্ধ লামা এগিয়ে গেল কাঁচের শাে-কেসের দিকে। প্রণাম করার জন্য ঝুঁকতেই লামার ভুরু যুগলে বিস্ময়ের কুঞ্চন।
বুদ্ধের চিতার হাড়। দিল্লীর জানুয়ারির শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে ন্যাশনাল মিউজিয়ামের প্রদর্শনীতে রােজ দর্শকের ভিড় উপছে পড়ছে। কাষায় বস্ত্রে শরীর আচ্ছাদন করে ভারতীয় বৌদ্ধরা তাে দলে দলে আসছেই, তাছাড়াও সিংহল, থাইল্যাণ্ড, নেপাল, ভুটান, চিন, জাপান থেকেও অনেক বৌদ্ধ লামা আসছে শাক্যমুনির শরীরধাতু দর্শন করে পুণ্য অর্জন করতে। এছাড়াও আসছে অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ, বিভিন্ন রাষ্ট্রের ডিপ্লোমেটিক লুমিনারিস, নানা ঐতিহাসিক, এবং পুরাতত্ত্বের ছাত্র- ছাত্রীরা। গত এক সপ্তাহ প্রদর্শনী ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু ঝামেলাটা আজ বাধল চিনের সরকারি প্রতিনিধিদলের আগমনে। গ্যালারিতে চিনের হাই পাওয়ার ডেলিগেশন, তাই মিউজিয়ামের কিউরেটার তাে বটেই, এমনকি খােদ অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল এসে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে। ঢিমেতালে এগােচ্ছে আজকের দর্শনার্থীরা। একদল লামা অস্থিকলসের দিকে ভক্তিতে মাথা নুইয়ে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাতে জানাতে এত ধীরে ধীরে এগােচ্ছিল যে অধৈর্য এডিজি'র মনে হচ্ছিল যেন কাঁচের দেওয়ালের ওপাশে জীবিত বুদ্ধ বসে এবং তাকে ভক্তরা অ্যাটেণ্ডেন্স জানাচ্ছে। হাড় ছাড়াও বুদ্ধের ব্যবহৃত রক্তচন্দন কাঠের যষ্টি, সাঁচী থেকে আনা সারিপুত্র ও মৌদগল্যায়নের দেহধাতু, চীবর, পােড়ামাটির অর্ধভগ্ন মালসা, সিলমােহর, তিব্বতের পােটালা থেকে আনা দালাই লামার উপহার তাঞ্জুর ও কাঞ্জুর পুঁথির পাতা ইত্যাদি এনে গ্যালারিতে একটা প্রাচীনত্বের অ্যামবিয়েন্স ক্রিয়েট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সামনের এপ্রিলে নিউ ইয়র্কে ইউনাইটেড নেশনসে চিনের সমর্থনপুষ্ট নেপালের সঙ্গে ভারতের কপিলাবস্তু সম্পর্কে যে তুমুল ডিবেট হবে তারই প্রস্তুতি এটা। গােটা গ্যালারিতে অখণ্ড নীরবতা, কখনাে কেউ উত্তেজনায় ফিসফিস করে কথা বললে তা গ্যালারির অন্য কোণ থেকে শােনা যাচ্ছে। লামারা একে একে এগিয়ে চলেছে। এবার একজন বৃদ্ধ লামা এগিয়ে গেল কাঁচের শাে-কেসের দিকে। প্রণাম করার জন্য ঝুঁকতেই লামার ভুরু যুগলে বিস্ময়ের কুঞ্চন।
Writer |
|
Publisher |
|
ISBN |
1535700000009 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
India |
Format |
Paperback |
Pages |
400 |