ছদ্মবেশ

Price:

225.00 ৳



কিসসা সমগ্র ২
কিসসা সমগ্র ২
680.00 ৳
800.00 ৳ (15% OFF)
দশটি উপন্যাস
দশটি উপন্যাস
1,020.00 ৳
1,200.00 ৳ (15% OFF)

ছদ্মবেশ

লতিফুর রহমান বাথরুমের দরজাটা খুললেন, তারপর চিৎকার করতে গিয়েও আচমকা থমকে দাঁড়ালেন, তাঁর হাত-পা কাঁপছে, তিনি টলছেন, মনে হচ্ছে তার চারপাশের জগৎটা চরকির মতো পাক খেয়ে ঘুরছে, পেটের ভেতর গুলিয়ে বমি হয়ে উঠে আসছে নাড়ি-ভূঁড়ি, তিনি তীব্র আত্ঙ্ক নিয়ে আরো একবার চোখ মেলে তাকালেন। বাথরুমের মেঝেতে কাত হয়ে পড়ে আছে একটা লাশ, লাশটার গলা থেকে মাথাটা প্রায় ছুটে এসে বিভৎসভাবে ঝুলে আছে বুকের ওপর, পচে যাওয়া লাশটার শরীর বেয়ে ভনভন করে উড়ছে মাছি... মানুষ রহস্যময়তা পছন্দ করে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সে সেটা বুঝতে পারে না। জীবনভর সে তার প্রিয়তম মানুষটিকেও পুরোপুরি বুঝে ফেলতে চায়, কিন্তু পুরোপুরি বোঝা হয়ে গেলে তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সে আসলে অবচেতনে সবসময়ই অনুদঘাটিত কিছু রহস্য উদঘাটন করতে চায়। যতক্ষণ অবধি সেই রহস্য থাকে, ততক্ষণ অবধি একটা প্রবল আগ্রহ, আকর্ষণ কাজ করে। রহস্য শেষ হয়ে গেলে আকর্ষণ ফুরিয়ে যায়। অথচ জীবনজুড়েই সে ভাবে, সে রহস্য পছন্দ করে না। মানুষের ভেতরে এই দ্বান্দ্বিক সত্ত্বাটা আছে। মানুষ ভাবে, সে ভয় পেতেও পছন্দ করে না, নৃশংসতা পছন্দ করে না। কথা সত্য না। সে অতি আগ্রহ নিয়ে গা হিম হয়ে আসা হরর সিনেমা দেখে, ভূতের বই পড়ে, সিরিয়াল কিলারের ভায়োলেন্ট মুভি দেখে, সাহিত্য পড়ে। এ কারণেই শিল্প-সাহিত্যে বৈচিত্র্যময় নানান ঘরানার সৃষ্টি হয়েছে। রহস্যোপন্যাস সাহিত্যের সেরকমই একটি সমৃদ্ধ শাখা। এই শাখাটির প্রতি আমার আগ্রহ একদম শৈশবেই। তবে তা শুধুই পড়ার জন্য, লেখার জন্য নয়। কারণ, এই ঘরাণাটিকে আমার খুবই কঠিন এবং একই সাথে গাণিতিক বা ‘ক্যালকুলেটিভ’ মনে হয়। ফলে এতোদিনে কখনোই রহস্যোপন্যাস লেখার কথা আমি ভাবি নি। তাহলে এই উপন্যাসটি কেন লিখছি? এই উপন্যাস লেখার কারণটা মজার। বহুবছর আগে এক দৈনিক পত্রিকায় হঠাৎ করেই একটি খুনের ঘটনা পড়েছিলাম। ঘটনাটি খুবই সাধারণ। পুলিশ লাশসহ খুনিকে গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু তারপরও একটা রহস্য রয়ে গেছে। সেই রহস্যের কোন কুল কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। বিষয়টা আমার মাথায় গেঁথে গেলো। কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারছি না। অবচেতনেই ঘুরেফিরে বারবার মাথায় চলে আসতে লাগলো সেই ঘটনা। এই করতে করতেই আচমকা একদিন একটা গল্পও চলে এলো মাথায়। সেই গল্প লিখেও ফেললাম। লিখতে গিয়ে হঠাৎই আবিষ্কার করলাম, গল্পের প্রধান চরিত্রটিকে আমি বিশেষ পছন্দ করে ফেলছি। এই চরিত্রটি নিয়ে আমার ধারাবাহিকভাবে আরো লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। প্রতিটি বইতে সে একেকটি রহস্যের সমাধান করবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, রহস্য গল্প লেখা কঠিন। এই কঠিন কাজটি আমি নিয়মিত করতে পারবো কীনা, সেটি নিয়ে খানিক সংশয়ও আছে। সেই সংশয় নিয়েই আমার প্রথম রহস্যোপন্যাস ‘ছদ্মবেশ’। 'ছদ্মবেশ' আদতেই শেষ অবধি রহস্যোপন্যাস হয়ে উঠতে পেরেছে কীনা, সেই সিদ্ধান্ত পাঠকের। ~ সাদাত হোসাইন
https://baatighar.com/web/image/product.template/42262/image_1920?unique=c575abe
(0 review)

লতিফুর রহমান বাথরুমের দরজাটা খুললেন, তারপর চিৎকার করতে গিয়েও আচমকা থমকে দাঁড়ালেন, তাঁর হাত-পা কাঁপছে, তিনি টলছেন, মনে হচ্ছে তার চারপাশের জগৎটা চরকির মতো পাক খেয়ে ঘুরছে, পেটের ভেতর গুলিয়ে বমি হয়ে উঠে আসছে নাড়ি-ভূঁড়ি, তিনি তীব্র আত্ঙ্ক নিয়ে আরো একবার চোখ মেলে তাকালেন।

বাথরুমের মেঝেতে কাত হয়ে পড়ে আছে একটা লাশ, লাশটার গলা থেকে মাথাটা প্রায় ছুটে এসে বিভৎসভাবে ঝুলে আছে বুকের ওপর, পচে যাওয়া লাশটার শরীর বেয়ে ভনভন করে উড়ছে মাছি...

মানুষ রহস্যময়তা পছন্দ করে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সে সেটা বুঝতে পারে না। জীবনভর সে তার প্রিয়তম মানুষটিকেও পুরোপুরি বুঝে ফেলতে চায়, কিন্তু পুরোপুরি বোঝা হয়ে গেলে তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সে আসলে অবচেতনে সবসময়ই অনুদঘাটিত কিছু রহস্য উদঘাটন করতে চায়। যতক্ষণ অবধি সেই রহস্য থাকে, ততক্ষণ অবধি একটা প্রবল আগ্রহ, আকর্ষণ কাজ করে। রহস্য শেষ হয়ে গেলে আকর্ষণ ফুরিয়ে যায়। অথচ জীবনজুড়েই সে ভাবে, সে রহস্য পছন্দ করে না।

মানুষের ভেতরে এই দ্বান্দ্বিক সত্ত্বাটা আছে। মানুষ ভাবে, সে ভয় পেতেও পছন্দ করে না, নৃশংসতা পছন্দ করে না।

কথা সত্য না।

সে অতি আগ্রহ নিয়ে গা হিম হয়ে আসা হরর সিনেমা দেখে, ভূতের বই পড়ে, সিরিয়াল কিলারের ভায়োলেন্ট মুভি দেখে, সাহিত্য পড়ে।

এ কারণেই শিল্প-সাহিত্যে বৈচিত্র্যময় নানান ঘরানার সৃষ্টি হয়েছে। রহস্যোপন্যাস সাহিত্যের সেরকমই একটি সমৃদ্ধ শাখা।

এই শাখাটির প্রতি আমার আগ্রহ একদম শৈশবেই। তবে তা শুধুই পড়ার জন্য, লেখার জন্য নয়। কারণ, এই ঘরাণাটিকে আমার খুবই কঠিন এবং একই সাথে গাণিতিক বা ‘ক্যালকুলেটিভ’ মনে হয়। ফলে এতোদিনে কখনোই রহস্যোপন্যাস লেখার কথা আমি ভাবি নি। তাহলে এই উপন্যাসটি কেন লিখছি?

এই উপন্যাস লেখার কারণটা মজার। বহুবছর আগে এক দৈনিক পত্রিকায় হঠাৎ করেই একটি খুনের ঘটনা পড়েছিলাম। ঘটনাটি খুবই সাধারণ। পুলিশ লাশসহ খুনিকে গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু তারপরও একটা রহস্য রয়ে গেছে। সেই রহস্যের কোন কুল কিনারা করতে পারছে না পুলিশ।

বিষয়টা আমার মাথায় গেঁথে গেলো। কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারছি না। অবচেতনেই ঘুরেফিরে বারবার মাথায় চলে আসতে লাগলো সেই ঘটনা। এই করতে করতেই আচমকা একদিন একটা গল্পও চলে এলো মাথায়। সেই গল্প লিখেও ফেললাম। লিখতে গিয়ে হঠাৎই আবিষ্কার করলাম, গল্পের প্রধান চরিত্রটিকে আমি বিশেষ পছন্দ করে ফেলছি। এই চরিত্রটি নিয়ে আমার ধারাবাহিকভাবে আরো লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে।

প্রতিটি বইতে সে একেকটি রহস্যের সমাধান করবে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, রহস্য গল্প লেখা কঠিন। এই কঠিন কাজটি আমি নিয়মিত করতে পারবো কীনা, সেটি নিয়ে খানিক সংশয়ও আছে। সেই সংশয় নিয়েই আমার প্রথম রহস্যোপন্যাস ‘ছদ্মবেশ’।

'ছদ্মবেশ' আদতেই শেষ অবধি রহস্যোপন্যাস হয়ে উঠতে পেরেছে কীনা, সেই সিদ্ধান্ত পাঠকের।

~ সাদাত হোসাইন

225.00 ৳ 225.0 BDT 300.00 ৳

300.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Out of Stock
ঢাকা শাখা Out of Stock
সিলেট শাখা Out of Stock
চট্টগ্রাম শাখা Out of Stock
রাজশাহী শাখা Out of Stock

Share :
100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

Writer

সাদাত হোসাইন

Publisher

অন্যধারা

ISBN

9789849431626

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

First Published

July 2019

Pages

144

সাদাত হোসাইন

মাদারীপুরের কালকিনিতে জন্ম নেওয়া সাদাত হোসাইন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর করলেও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবতার কাছে বিকিয়ে দেননি। প্রমাণস্বরূপ, তিনি বর্তমানে একাধারে আলোকচিত্রী, লেখক, কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। একটি সংবাদপত্রের আলোকচিত্রী হিসেবে যখন তাকে ছবির সাথে গল্প জুড়ে দিতে বলা হয়, তখনই নিজের লেখক সত্ত্বার খোঁজ পান। এই কাজটিকে কেন্দ্র করেই ২০১৩ সালে ‘গল্পছবি’ নামে সাদাত হোসাইন এর বই প্রকাশ পায় প্রথম। অতঃপর লেখা শুরু করেন ছোটগল্প, কবিতা, এমনকি উপন্যাসও। সাদাত হোসাইন এর বইয়ের সংখ্যা ১১টি, যার মাঝে রয়েছে ৬টি উপন্যাস, ২টি ছোটগল্প সমগ্র ও ৩টি কবিতার বই। শব্দের খেলা দিয়ে পাঠকের অনুভূতিকে জাগ্রত করাই হলো তার লেখার বিশেষত্ব। তাই সাদাত হোসাইন এর বই সমূহ এর মাঝে “আরশিনগর” এবং “অন্দরমহল” পাঠকের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। একইসাথে তার কবিতার বইগুলোও পেয়েছে জনপ্রিয়তা। বর্তমানে সাহিত্যের বাজারে ছোটগল্প, উপন্যাস মিলে সাদাত হোসাইন এর বই সমগ্র নানা রূপে পাওয়া যাচ্ছে। তুখোড় এই লেখক তার প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমেও। প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দিয়ে শুরু করলেও ২০১৯ সালে ‘গহীনের গান’ নামক মিউজিক্যাল ফিল্ম পরিচালনার মধ্য দিয়েই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অঙ্গনে তার প্রবেশ। এই স্বপ্নাতুর লেখক তার তীব্র কল্পনাশক্তির সাহায্যে পাঠকের অনুভূতির কাছে পৌঁছাতে চান। তিনি ২০১৬ সালে শ্রেষ্ঠ নির্মাতা পুরস্কার ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যশনাল অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি সাহিত্যে অবদানের জন্য আরো ৪টি পুরস্কার পেয়েছেন।