যাত্রাপথের আনন্দগান
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এসসি পরীক্ষায় যিনি সর্বোচ্চ স্থানাধিকারী, ডাকসাইটে আইনজীবীর পুত্র হিসেবে যার জন্য নির্দিষ্ট ছিল অখণ্ড বাংলার নেত্রকোণায় ওকালতির আসন, সেই শৈলজারঞ্জন মজুমদার কীভাবে হয়ে উঠলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রধানতম সুরের গুরু, কীভাবে, রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, বিজ্ঞানের রসায়ন রাগরাগিণীর রসায়নে পূর্ণ হল তার জীবনে, সে এক আশ্চর্য ইতিহাস। সেই ইতিহাসই শুনিয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার তার এই অনুপম আত্মস্মৃতিতে। যেমন ব্যস্ত, বৈচিত্র্যময় শৈলজারঞ্জনের জীবন ও কর্মপ্রবাহ, তেমনই বিস্ময়কর রূপে ব্যাপক, তার স্মৃতির পরিধি। এই স্মৃতিকথার শুরু তার চেতনার প্রথম প্রত্যুষে, যখন পাখির মতােই তিনি কণ্ঠে তুলে নিতেন ঠাকুমার মুখে শােনা কৃষ্ণবন্দনা। এরপর পাঠশালা ও ইস্কুলে, ইস্কুল ছাপিয়ে কলকাতার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন, অধ্যাপনা ও ওকালতি, তারপর শান্তিনিকেতনের নানা রঙের দিন। শুধু রবীন্দ্রসান্নিধ্য এবং আশ্রমজীবনের উষ্ণ ও অন্তরঙ্গ বর্ণনার জন্যই বরণীয় নয় এই স্মৃতিকথা, পুরাে বিংশ শতকের টুকরাে টুকরাে চলচ্চিত্র যেন চোখের সামনে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রসঙ্গীতে নিবেদিতপ্রাণ এই সঙ্গীতসাধক। নিখুঁত, জীবন্ত, বর্ণাঢ্য ও অমূল্য এই স্মৃতিকথাকে অনুলিখনে ধরেছেন সবিতা দত্ত মজুমদার।
Writer |
|
Publisher |
|
ISBN |
9789350400470 |
Language |
Bengali / বাংলা |
Country |
India |
First Published |
December 1985 |
Page Count |
148 |