কাঠকয়লার ছবি

Price:

225.00 ৳



Mujib 100
Mujib 100
675.00 ৳
900.00 ৳ (25% OFF)
জীবনানন্দ
জীবনানন্দ
170.00 ৳
200.00 ৳ (15% OFF)

কাঠকয়লার ছবি

কাঠকয়লার ছবি একটি লস্ট আইডেনটিটির গল্প। পটভূমি একটি যুদ্ধশিশু ও চা-বাগানের সেইসব মানুষ, যাদের একদিন নিজ মাতৃভূমি থেকে জোর করে ধরে এনে চা-শ্রমিক হিসেবে বাগানের কাজে লাগানাে হয়েছিলাে। তাদের মজুরি নির্ধারিত হয়েছিলাে ন্যূনতম হার তাদেরকে শুধুই বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে, যেন তারা শুধুই বেঁচে থাকে এবং ব্যাহত না হয় চা-উৎপাদন। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এভাবেই চলে আসছে এবং এখনও সেভাবে চলছে। এদের কাছে এসে দাঁড়ায় একটি যুদ্ধ-শিশু। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একজন শ্রমিক নারীর গর্ভে যার জন্ম। পিতা একজন পাকিস্তানি সৈনিক। জন্মের পরপরই অসুস্থ মাকে না দেখিয়ে শিশুটিকে দিয়ে দেওয়া হয় একটি বিদেশী দম্পতিকে, যারা প্রবল মমতায় ছেলেটিকে বড় করে। একদিন পালক বাবা-মা ছেলেটিকে তার জন্মের কথা বলে। ছেলেটি তার মাকে খুঁজতে আসে বাংলাদেশে। কিন্তু ততদিনে সে আক্রান্ত হয়েছে ঘাতক ব্যাধি এইডসে। তার পরও সমকামী ছেলেটি কারাে ভালােবাসা থেকে বঞ্চিত হয়নি। চা-বাগানের শ্রমিকেরা তাকে আপন করে নেয়। বিমানবন্দরে তার সঙ্গে পরিচয় হয় রঞ্জনের। রঞ্জন উত্তেজনার বসে খুন করে তার প্রেমিকাকে। পুলিশ ওকে খোঁজে । ও চা-বাগানের কোনাে একটি অখ্যাত এলাকায় পলাতক জীবনযাপন করে। ভালােবাসে একটি মেয়েকে। দুজনে নতুন করে জীবন-গড়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ হয় না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রঞ্জন। আর দুলাল খুঁজে পায় ওর মাকে। চা-শ্রমিকের জীবনে খানিকটুকু আনন্দ বইয়ে দেওয়ার জন্য ও আয়ােজন করে একটি উৎসবের। দুঃখ এবং আনন্দের ভেতরে জীবন এবং জীবনের চলমান ক্ষয়িষ্ণুতা যাদের প্রতিদিনের সম্বল তাদের জীবনকে কি শুধু একদিনের উৎসবে আনন্দময় করা যায়? এ-উপন্যাসের মানুষেরা এই সত্যকে খুঁজে ফেরে। সত্য খুঁজে পাওয়া কঠিন। শুধু দুলালের সামনের দুটি সত্য, ডেথ এবং আইডেনটিটির প্রশ্ন, চা-বাগান নামক মানুষেরও প্রশ্ন হয়।
https://baatighar.com/web/image/product.template/33438/image_1920?unique=cdff462
(0 review)

কাঠকয়লার ছবি একটি লস্ট আইডেনটিটির গল্প। পটভূমি একটি যুদ্ধশিশু ও চা-বাগানের সেইসব মানুষ, যাদের একদিন নিজ মাতৃভূমি থেকে জোর করে ধরে এনে চা-শ্রমিক হিসেবে বাগানের কাজে লাগানাে হয়েছিলাে। তাদের মজুরি নির্ধারিত হয়েছিলাে ন্যূনতম হার তাদেরকে শুধুই বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে, যেন তারা শুধুই বেঁচে থাকে এবং ব্যাহত না হয় চা-উৎপাদন। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এভাবেই চলে আসছে এবং এখনও সেভাবে চলছে। এদের কাছে এসে দাঁড়ায় একটি যুদ্ধ-শিশু। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একজন শ্রমিক নারীর গর্ভে যার জন্ম। পিতা একজন পাকিস্তানি সৈনিক। জন্মের পরপরই অসুস্থ মাকে না দেখিয়ে শিশুটিকে দিয়ে দেওয়া হয় একটি বিদেশী দম্পতিকে, যারা প্রবল মমতায় ছেলেটিকে বড় করে। একদিন পালক বাবা-মা ছেলেটিকে তার জন্মের কথা বলে। ছেলেটি তার মাকে খুঁজতে আসে বাংলাদেশে। কিন্তু ততদিনে সে আক্রান্ত হয়েছে ঘাতক ব্যাধি এইডসে। তার পরও সমকামী ছেলেটি কারাে ভালােবাসা থেকে বঞ্চিত হয়নি। চা-বাগানের শ্রমিকেরা তাকে আপন করে নেয়। বিমানবন্দরে তার সঙ্গে পরিচয় হয় রঞ্জনের। রঞ্জন উত্তেজনার বসে খুন করে তার প্রেমিকাকে। পুলিশ ওকে খোঁজে । ও চা-বাগানের কোনাে একটি অখ্যাত এলাকায় পলাতক জীবনযাপন করে। ভালােবাসে একটি মেয়েকে। দুজনে নতুন করে জীবন-গড়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ হয় না। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রঞ্জন। আর দুলাল খুঁজে পায় ওর মাকে। চা-শ্রমিকের জীবনে খানিকটুকু আনন্দ বইয়ে দেওয়ার জন্য ও আয়ােজন করে একটি উৎসবের। দুঃখ এবং আনন্দের ভেতরে জীবন এবং জীবনের চলমান ক্ষয়িষ্ণুতা যাদের প্রতিদিনের সম্বল তাদের জীবনকে কি শুধু একদিনের উৎসবে আনন্দময় করা যায়? এ-উপন্যাসের মানুষেরা এই সত্যকে খুঁজে ফেরে। সত্য খুঁজে পাওয়া কঠিন। শুধু দুলালের সামনের দুটি সত্য, ডেথ এবং আইডেনটিটির প্রশ্ন, চা-বাগান নামক মানুষেরও প্রশ্ন হয়।

225.00 ৳ 225.0 BDT 300.00 ৳

300.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Available
ঢাকা শাখা Available
সিলেট শাখা Out of Stock
চট্টগ্রাম শাখা Available
রাজশাহী শাখা Available

Share :
100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

Writer

সেলিনা হোসেন

Publisher

মাওলা ব্রাদার্স

ISBN

984410212X

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

First Published

February 2001

Pages

220

সেলিনা হোসেন

সেলিনা হোসেন (জন্ম ১৪ জুন ১৯৪৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। তার উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংকটের সামগ্রিকতা। বাঙালির অহংকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তার লেখায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার গল্প উপন্যাস ইংরেজি, রুশ, মেলে এবং কানাড়ী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি।