The Little Book of Hygge : The Danish Way to Live Well
The Little Book of Hygge : The Danish Way to Live Well
1,018.30 ৳
1,198.00 ৳ (15% OFF)
The Origins Of The Second World War
The Origins Of The Second World War
848.30 ৳
998.00 ৳ (15% OFF)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাতিঘর : ইতিহাস ও তথ্য

https://baatighar.com/web/image/product.template/47962/image_1920?unique=3a2f178
(0 review)

১৯২১ সালের ১ জুলাই একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা আরম্ভ হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে অবকাঠামোর বৃহৎ অংশ গড়ে তোলা হয় তদানীন্তন ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী ও কার্জন হলের ভিত্তিতে।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বিস্তৃত ও মুখর ইতিহাস। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনামলে অগ্নিযুগের বাঙলায় বিপ্লব সাধনার একটি পীঠস্থান ছিল ঢাকা। 'অনুশীলন সমিতি'র প্রধান কর্মক্ষেত্র ঢাকার অনেকেই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিকের কৃতি শিক্ষার্থী। এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইতিহাসে গতি প্রকৃতি নির্ধারণে খুব গুরুত্ববহ অবদান রেখেছে।
১৯৪৮ সালে জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ জানায়। আর এভাবেই ভাষা আন্দোলনকে সংগঠিত করে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সরিয়ে বাংলা ভাষাভিত্তিক একটি স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। এরপর ১৯৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান শহীদ হওয়ার ফলে ১১ দফার আন্দোলন চূড়ান্ত অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে গিয়ে সমাপ্ত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিসংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আত্মত্যাগ ও অবদানের ইতিহাস মূলত এক বীরগাঁথার উপাখ্যান।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। এছাড়া দেশের মানুষের মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি, মনন ও মেধা এবং বিশেষ করে রুচি গড়ে তোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যষ্টিক স্বার্থের পাশাপাশি সমষ্টি স্বার্থকে সবসময় প্রাধান্য দিয়েছে। কালের আবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স বাড়ে কিন্তু এর বার্ধক্য আসে না। এর একটি কারণ এখানে প্রতিবছর নবীনদের আগমন ঘটে যারা আলোকিত হয় প্রবীণদের সংস্পর্শ পেয়ে, আবার প্রবীণরাও সজীব থাকেন নবীনদের সঙ্গ পেয়ে।

300.00 ৳ 300.0 BDT 300.00 ৳

300.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Available
ঢাকা শাখা Available
সিলেট শাখা Available
চট্টগ্রাম শাখা Available
রাজশাহী শাখা Available
Pages

188

Format

Hardcover


100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

১৯২১ সালের ১ জুলাই একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা আরম্ভ হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে অবকাঠামোর বৃহৎ অংশ গড়ে তোলা হয় তদানীন্তন ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী ও কার্জন হলের ভিত্তিতে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বিস্তৃত ও মুখর ইতিহাস। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনামলে অগ্নিযুগের বাঙলায় বিপ্লব সাধনার একটি পীঠস্থান ছিল ঢাকা। 'অনুশীলন সমিতি'র প্রধান কর্মক্ষেত্র ঢাকার অনেকেই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিকের কৃতি শিক্ষার্থী। এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইতিহাসে গতি প্রকৃতি নির্ধারণে খুব গুরুত্ববহ অবদান রেখেছে। ১৯৪৮ সালে জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ জানায়। আর এভাবেই ভাষা আন্দোলনকে সংগঠিত করে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে সরিয়ে বাংলা ভাষাভিত্তিক একটি স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। এরপর ১৯৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান শহীদ হওয়ার ফলে ১১ দফার আন্দোলন চূড়ান্ত অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে গিয়ে সমাপ্ত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিসংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আত্মত্যাগ ও অবদানের ইতিহাস মূলত এক বীরগাঁথার উপাখ্যান। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। এছাড়া দেশের মানুষের মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি, মনন ও মেধা এবং বিশেষ করে রুচি গড়ে তোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যষ্টিক স্বার্থের পাশাপাশি সমষ্টি স্বার্থকে সবসময় প্রাধান্য দিয়েছে। কালের আবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স বাড়ে কিন্তু এর বার্ধক্য আসে না। এর একটি কারণ এখানে প্রতিবছর নবীনদের আগমন ঘটে যারা আলোকিত হয় প্রবীণদের সংস্পর্শ পেয়ে, আবার প্রবীণরাও সজীব থাকেন নবীনদের সঙ্গ পেয়ে।

author image

মিলটন কুমার দেব

মিলটন কুমার দেব ছিলেন বাংলাদেশের এক অনন্য ইতিহাসবিদ, গবেষক এবং লেখক, যিনি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গভীর গবেষণা এবং বিশ্লেষণ করেছেন। ১৯৪৫ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করা মিলটন কুমার দেব একাধিক উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য সমাদৃত। তাঁর লেখনীর মধ্যে ইতিহাসের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা এবং তার সঠিক অন্বেষণ ছিল স্পষ্ট। তিনি বিশেষভাবে রমেশচন্দ্র মজুমদার এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার শহিদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও কর্ম নিয়ে বিভিন্ন বই লিখেছেন। তাঁর ‘রমেশচন্দ্র মজুমদার জীবন ও সৃজন’, ‘১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী’ এবং ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাতিঘর : ইতিহাস ও তথ্য’ বইগুলো প্রমাণিত করে যে তিনি ইতিহাসের মর্ম বুঝে সেই জ্ঞান সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তার গবেষণায় ইতিহাসের প্রতি তার গভীর দৃষ্টিভঙ্গি, গভীর বিশ্লেষণ এবং দক্ষতা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। মিলটন কুমার দেবের লেখা শুধু ইতিহাসের এক পরিপূর্ণ চিত্র নয়, বরং তা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য ধন। তাঁর রচিত বইগুলো আধুনিক ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করা মিলটন কুমার দেবের কাজ আজও গবেষকদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি আগ্রহী। তাঁর কাজগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যা দেশের ইতিহাস চর্চাকে সমৃদ্ধ করেছে।

Writer

মিলটন কুমার দেব

Publisher

দ্যু প্রকাশন

ISBN

9789849578987

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

Pages

188