English Literature
English Literature
531.00 ৳
590.00 ৳ (10% OFF)
The Wind in the Willows
The Wind in the Willows
135.00 ৳
150.00 ৳ (10% OFF)

ত্রিপুরার কথা

https://baatighar.com/web/image/product.template/24950/image_1920?unique=336e233
(0 review)

অবিভক্ত ভারতবর্ষে ক্ষুদ্র অথচ প্রাচীন রাজ্য ত্রিপুরা। আমাদের অতি নিকটবর্তী রাজ্যটি ১৯৪৭-এর দেশভাগে ভারত রাষ্ট্রাধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ত্রিপুরার মাণিক্য রাজপরিবারের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রানি কাঞ্চন প্রভা দেবী ভারত সরকারের সঙ্গে দিল্লিতে ভারতভুক্তির আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করেন ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর।

পাঁচশ বছরের অধিক কালব্যাপী স্বাধীন রাজ্যটি মোগল, ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে ছিল না। তবে পরবর্তীকালে মোগল ও ব্রিটিশদের সীমাহীন আধিপত্য-আগ্রাসনে রাজ্যটি নতজানু নীতি গ্রহণে বাধ্য হয়। তাদের আনুগত্য, বশ্যতা স্বীকার করেই মাণিক্য বংশীয় রাজারা রাজ্য শাসন নিরাপদ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। এতে রাজাদের স্বাধীনতা ছিল সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কেবল পার্বত্য ত্রিপুরাতেই তারা স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে পেরেছিলেন। অপরদিকে ত্রিপুরার সমতল চাকলা রোশনাবাদ ছিল রাজাদের জমিদারি অঞ্চল। সেখানে তাদের মর্যাদা ছিল রাজারূপে নয়, জমিদার হিসেবে। ভারতভুক্তির পরই ত্রিপুরার মাণিক্য-রাজাদের রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে।

গণতান্ত্রিক শাসনাধীনে ত্রিপুরার আর্থ-সামাজিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ভারত ভূখণ্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন রাজ্যটির সমষ্টিগত মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। শিল্প বিনিয়োগ না ঘটায় সামন্তযুগের ন্যায় আজও রাজ্যটি কৃষি অর্থনীতিনির্ভর। উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য হলেও রাজ্যটি আয়তনে এবং জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র ও স্বল্প। ভারতের বুর্জোয়ারা মুনাফার ক্ষেত্র সংকীর্ণ বিবেচনায় এ রাজ্যে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী হয়নি। এতে রাজ্যে হিন্দি ভাষার আধিপত্যও গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়দের কর্মসংস্থান অত্যন্ত সঙ্কুচিত পরিসরে থাকায় বেকারত্বও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে পশ্চিম বাংলা, আসামের পর সর্বাধিক বাঙালির বাস। বাঙালিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের বাংলা ভাষা পুরোপুরি পূর্ববঙ্গীয়। পশ্চিম বাংলার ন্যায় নয়। মাণিক্য-রাজাদের আমল থেকে অদ্যাবধি রাজ্যের ভাষা বাংলা। অতি নিকটবর্তী এই রাজ্য সম্পর্কে আমাদের জানার পরিসর অত্যন্ত সীমিত। গ্রন্থটি পাঠে ত্রিপুরা সম্পর্কে পাঠকরা অজানা অনেক তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন বলেই মনে করি।

225.00 ৳ 225.0 BDT 300.00 ৳

300.00 ৳

Not Available For Sale

Hurry Up! Limited time offer.
Offer Finished.

This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Available
ঢাকা শাখা Out of Stock
সিলেট শাখা Available
চট্টগ্রাম শাখা Out of Stock
রাজশাহী শাখা Available
Pages

175

Format

Hardcover


100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

অবিভক্ত ভারতবর্ষে ক্ষুদ্র অথচ প্রাচীন রাজ্য ত্রিপুরা। আমাদের অতি নিকটবর্তী রাজ্যটি ১৯৪৭-এর দেশভাগে ভারত রাষ্ট্রাধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ত্রিপুরার মাণিক্য রাজপরিবারের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রানি কাঞ্চন প্রভা দেবী ভারত সরকারের সঙ্গে দিল্লিতে ভারতভুক্তির আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করেন ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর। পাঁচশ বছরের অধিক কালব্যাপী স্বাধীন রাজ্যটি মোগল, ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে ছিল না। তবে পরবর্তীকালে মোগল ও ব্রিটিশদের সীমাহীন আধিপত্য-আগ্রাসনে রাজ্যটি নতজানু নীতি গ্রহণে বাধ্য হয়। তাদের আনুগত্য, বশ্যতা স্বীকার করেই মাণিক্য বংশীয় রাজারা রাজ্য শাসন নিরাপদ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। এতে রাজাদের স্বাধীনতা ছিল সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কেবল পার্বত্য ত্রিপুরাতেই তারা স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে পেরেছিলেন। অপরদিকে ত্রিপুরার সমতল চাকলা রোশনাবাদ ছিল রাজাদের জমিদারি অঞ্চল। সেখানে তাদের মর্যাদা ছিল রাজারূপে নয়, জমিদার হিসেবে। ভারতভুক্তির পরই ত্রিপুরার মাণিক্য-রাজাদের রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে। গণতান্ত্রিক শাসনাধীনে ত্রিপুরার আর্থ-সামাজিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। ভারত ভূখণ্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন রাজ্যটির সমষ্টিগত মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। শিল্প বিনিয়োগ না ঘটায় সামন্তযুগের ন্যায় আজও রাজ্যটি কৃষি অর্থনীতিনির্ভর। উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য হলেও রাজ্যটি আয়তনে এবং জনসংখ্যায় ক্ষুদ্র ও স্বল্প। ভারতের বুর্জোয়ারা মুনাফার ক্ষেত্র সংকীর্ণ বিবেচনায় এ রাজ্যে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী হয়নি। এতে রাজ্যে হিন্দি ভাষার আধিপত্যও গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়দের কর্মসংস্থান অত্যন্ত সঙ্কুচিত পরিসরে থাকায় বেকারত্বও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে পশ্চিম বাংলা, আসামের পর সর্বাধিক বাঙালির বাস। বাঙালিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের বাংলা ভাষা পুরোপুরি পূর্ববঙ্গীয়। পশ্চিম বাংলার ন্যায় নয়। মাণিক্য-রাজাদের আমল থেকে অদ্যাবধি রাজ্যের ভাষা বাংলা। অতি নিকটবর্তী এই রাজ্য সম্পর্কে আমাদের জানার পরিসর অত্যন্ত সীমিত। গ্রন্থটি পাঠে ত্রিপুরা সম্পর্কে পাঠকরা অজানা অনেক তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন বলেই মনে করি।

author image

মযহারুল ইসলাম বাবলা

মযহারুল ইসলাম বাবলা

Writer

মযহারুল ইসলাম বাবলা

Publisher

কথাপ্রকাশ

ISBN

9789845101325

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

Pages

175