১৯৩৭-এর গের্নিকা-চিত্রকর আজকের এই পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জনের সংগ্রামে, এক সমৃদ্ধ সহযোদ্ধা, এক সংবেদী সমর্থক। গের্নিকা এমনই এক ছবি, সময়ের সীমানা পেরিয়ে এখনও অম্লান যার জ্যোতির্বলয়। অলৌকিক জাদু দিয়ে গড়া এই ছবি। তাই মানে না বুঝলেও টানে। মানে বোঝার জন্যেও টানে। দশকের পর দশক পার হয়েও এখনও তাকে ঘিরে তর্কের আর বিতর্কের প্রশ্নের আর উত্তরের, বিস্ময় আর বন্দনার তোলপাড়। মানবসমাজের এক অমানুষিক ধ্বংস-হুহূর্ত অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে বর্ণ নেই, বর্ণনা নেই, নির্দিষ্ট স্থান-কালও নেই তার ভয়ংকর ক্ষতচিহ্ন নিয়ে। শুধুমাত্র সাদা কালো আর ধুসর রঙের বিন্যাসের এই ছবি থেকে দবুও যেন ছিটকে বিরয় ক্রোধের রক্তিমতা, বোধের দীপ্তি, পুনরুজ্জীবনের সবুজ সংকেত। মোনালিসার পর পৃথিবীর শিল্পে এই এক দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত, বহুকোণ রহস্যময়তার।
১৯৩৭-এর গের্নিকা-চিত্রকর আজকের এই পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জনের সংগ্রামে, এক সমৃদ্ধ সহযোদ্ধা, এক সংবেদী সমর্থক। গের্নিকা এমনই এক ছবি, সময়ের সীমানা পেরিয়ে এখনও অম্লান যার জ্যোতির্বলয়। অলৌকিক জাদু দিয়ে গড়া এই ছবি। তাই মানে না বুঝলেও টানে। মানে বোঝার জন্যেও টানে। দশকের পর দশক পার হয়েও এখনও তাকে ঘিরে তর্কের আর বিতর্কের প্রশ্নের আর উত্তরের, বিস্ময় আর বন্দনার তোলপাড়। মানবসমাজের এক অমানুষিক ধ্বংস-হুহূর্ত অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে বর্ণ নেই, বর্ণনা নেই, নির্দিষ্ট স্থান-কালও নেই তার ভয়ংকর ক্ষতচিহ্ন নিয়ে। শুধুমাত্র সাদা কালো আর ধুসর রঙের বিন্যাসের এই ছবি থেকে দবুও যেন ছিটকে বিরয় ক্রোধের রক্তিমতা, বোধের দীপ্তি, পুনরুজ্জীবনের সবুজ সংকেত। মোনালিসার পর পৃথিবীর শিল্পে এই এক দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত, বহুকোণ রহস্যময়তার।
পূর্ণেন্দুশেখর পত্রী (ফেব্রুয়ারি ২, ১৯৩১ - মার্চ ১৯, ১৯৯৭) (পূর্ণেন্দু পত্রী নামে সর্বাধিক পরিচিত; ছদ্মনাম সমুদ্রগুপ্ত) একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, সাহিত্য গবেষক, কলকাতা গবেষক, চিত্র-পরিচালক ও প্রচ্ছদশিল্পী। পূর্ণেন্দু পত্রীর জন্ম বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার নাকোলে। পিতা পুলিনবিহারী পত্রী, মা নির্মলা দেবী। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পারিবারিক কলহের কারণে পৈতৃক ভিটা ছেড়ে চলে আসেন কলকাতায়। ১৯৪৯ সালে ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে ভর্তি হন বাণিজ্যিক শিল্পকলা বা কমার্শিয়াল আর্টের ছাত্র হিসেবে। যদিও নানা কারণে এই পাঠক্রম শেষ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ছেলেবেলায় বাগনানের বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা অমল গাঙ্গুলির সংস্পর্শে এসে কমিউনিস্ট পার্টির নানান সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কলকাতায় অভিভাবক কাকা নিকুঞ্জবিহারী পত্রীর চলচ্চিত্র পত্রিকা 'চিত্রিতা' ও সাহিত্যপত্র দীপালি-তে তার আঁকা ও লেখার সূচনা হয়। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য হয়ে পড়লে রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চা উভয়েই একসঙ্গে চালাতে থাকেন।