শোনা যায় পীর মোমেনশাহর নামেই ময়মনসিংহ। অবিভক্ত বাংলার সব চেয়ে বড় জেলা ছিল ময়মনসিংহ। পূর্ববঙ্গ গীতিকার সিংহভাগ রচিত হয়েছিল এই জেলায়। প্রেম আর বিরহ ও সামাজিক অসাম্য কাহিনিগুলির মূল সুর। তাঁর ভিতরে লুকিয়ে আছে চলমান জীবন এবং সামাজিক চিত্র। মহুয়া, মলুয়া, কমলা, কাজলরেখা, কঙ্ক ও লীলা, আয়না বিবি ... কত যে অপরূপ কাহিনিমালায় সাজানো এই মৃত্তিকা। এই কাহিনি ময়মনসিংহ গীতিকার বাইরের সেই কাহিনি, যা আগে কখনো লেখা হয়নি। গারো পাহাড়ের কোলে সোমেশ্বরী নদীর তীরের সুসঙ্গ দুর্গাপুর অঞ্চলে রাজা, জমিদার, ভূমধ্যকারীর বিরুদ্ধে হাজং পাহাড়িয়া জাতির হাতিখেদা বিদ্রোহ, ভূমির অন্যায্য চুক্তি টঙ্ক প্রথার বিরুদ্ধে হাজং জাতি ও অন্যান্য কৃষকের বিদ্রোহ যেমন এর বিষয়, তেমনি অপরূপ গীতিকা-কাহিনির চরিত্রদের বাস্তবের মাটিতে ফিরে আসা নিয়ে এই আখ্যান। এই আখ্যানে গারো পাহাড় এগিয়ে আসে পিছিয়ে যায়, পরাজিত গারো রাজা হাড়ের বনের ভিতর কুয়াশাঘেরা প্রাসাদে অপেক্ষা করেন ৭০০ বছর ধরে। কমলা সায়র খনন করতে করতে অতল থেকে উঠে আসে শুধু অন্ধকার। মায়া বাস্তবতায় গড়া এই অপরূপ আখ্যানে ইতিহাস এবং জনজীবন মুখ বাড়িয়েছে প্রলম্বিত কুয়াশার ভিতর থেকে।
শোনা যায় পীর মোমেনশাহর নামেই ময়মনসিংহ। অবিভক্ত বাংলার সব চেয়ে বড় জেলা ছিল ময়মনসিংহ। পূর্ববঙ্গ গীতিকার সিংহভাগ রচিত হয়েছিল এই জেলায়। প্রেম আর বিরহ ও সামাজিক অসাম্য কাহিনিগুলির মূল সুর। তাঁর ভিতরে লুকিয়ে আছে চলমান জীবন এবং সামাজিক চিত্র। মহুয়া, মলুয়া, কমলা, কাজলরেখা, কঙ্ক ও লীলা, আয়না বিবি ... কত যে অপরূপ কাহিনিমালায় সাজানো এই মৃত্তিকা। এই কাহিনি ময়মনসিংহ গীতিকার বাইরের সেই কাহিনি, যা আগে কখনো লেখা হয়নি। গারো পাহাড়ের কোলে সোমেশ্বরী নদীর তীরের সুসঙ্গ দুর্গাপুর অঞ্চলে রাজা, জমিদার, ভূমধ্যকারীর বিরুদ্ধে হাজং পাহাড়িয়া জাতির হাতিখেদা বিদ্রোহ, ভূমির অন্যায্য চুক্তি টঙ্ক প্রথার বিরুদ্ধে হাজং জাতি ও অন্যান্য কৃষকের বিদ্রোহ যেমন এর বিষয়, তেমনি অপরূপ গীতিকা-কাহিনির চরিত্রদের বাস্তবের মাটিতে ফিরে আসা নিয়ে এই আখ্যান। এই আখ্যানে গারো পাহাড় এগিয়ে আসে পিছিয়ে যায়, পরাজিত গারো রাজা হাড়ের বনের ভিতর কুয়াশাঘেরা প্রাসাদে অপেক্ষা করেন ৭০০ বছর ধরে। কমলা সায়র খনন করতে করতে অতল থেকে উঠে আসে শুধু অন্ধকার। মায়া বাস্তবতায় গড়া এই অপরূপ আখ্যানে ইতিহাস এবং জনজীবন মুখ বাড়িয়েছে প্রলম্বিত কুয়াশার ভিতর থেকে।
কলকাতায় বড় হয়েছেন, মফস্বল বাংলায় দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেছেন এই কথাসাহিত্যিক। উপন্যাস লিখনে বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে পরিভ্রমণ করেন। ২০০৬ সালে ধ্রুবপুত্র উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি, ২০০১ সালে অশ্বচরিত উপন্যাসের জন্য বঙ্কিম পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে স্বদেশযাত্রা ছোটগল্পের জন্য সর্বভারতীয় কথা পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৭ সালে যুগশঙ্খ পুরস্কার, ২০১৮ সালে শরত সমিতি প্রদত্ত রৌপ্য পদক, ২০১০ সালে মিত্র ও ঘোষ সম্মান পেয়েছেন। ২০১৯ সালে কাজাখস্তানে এশীয় লেখকদের সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী মঞ্চে কাজাখ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উপস্থিত একমাত্র ভারতীয় লেখক ও বক্তা। বিভিন্ন ভাষায় তাঁর গ্রন্থ অনূদিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বই : ধনপতির চর, মোমেনশাহী উপাখ্যান , কুমারী মেঘের দেশ চাই, ও আমার পছন্দপুর, পুনরুত্থান, ধ্রুবপুত্র, অশ্বচরিত, মার্কো পোলোর ভ্রমণ বৃত্তান্ত ২০২০, সেরা পঞ্চাশটি গল্প, গাঁওবুড়ো ও অন্যান্য গল্প। প্রথম বাংলা ভাষার লেখক যিনি গাঁওবুড়ো ছোট গল্পের জন্য আন্তর্জাতিক ও' হেনরি পুরস্কার পেয়েছেন ২০২২ সালে।