ফ্ল্যাপের কথা: এই কলকাতা শহরে এমন মানুষ আছে, যারা একসময় পূর্ববঙ্গবাসী বা কোন পূর্ববঙ্গবাসীর উত্তরপুরুষ হলেও কলকাতায় এসেছে এবং থেকেছে নানা কারণে--অনেক আগে থেকে আজ পর্যন্ত--কখনো পড়াশোনার জন্য, কখনো চাকরিবাকরির সন্ধানে। কিংবা সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, দাঙ্গা ও দেশভাগে বিপর্যস্ত হয়ে। ভারত-পাক যুদ্ধ বা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তো ব্যাপকভাবে শুরু হল দেশত্যাগের আরেক পালা। নতুন দেশে এসেও তারা তাদের পূর্বভূমির ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনাচরণ, প্রথা, অভ্যাস ইত্যাদি বজায় রেখেছে, সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে ক্রমশ ক্ষীয়মাণ হলেও , রেখেছে। পরে এখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে মিশ্রণ, কিংবা তাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন ঘটলেও তাদের একটা আলাদা স্বভাব ও চরিত্র কমবেশি রয়ে যায়। পূর্ববঙ্গবাসীদের যদি বাঙাল বলি, যা এদেশের মানুষেরা বলে থাকে, তবে এরাই কলকাতার বাঙাল।
পা তার পোঁতা আছে তার স্বদেশ বাংলার দুই চরে। তাই দুই বাংলাই তার অভিজ্ঞতার অন্তর্গত। আর জীবনকে চলমানতায় গ্রহণ করাতেই যেহেতু মুক্তি, তাই ভ্রমণ ও তার গল্পই তার কাছে সবচেয়ে বাঞ্ছিত সুখ। মাঝে-মাঝে সব ভুলে তাতেই সমর্পণ। কাছের দুই বাংলায়, দূরের নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার ভারতবৈচিত্র্যে।
ফ্ল্যাপের কথা: এই কলকাতা শহরে এমন মানুষ আছে, যারা একসময় পূর্ববঙ্গবাসী বা কোন পূর্ববঙ্গবাসীর উত্তরপুরুষ হলেও কলকাতায় এসেছে এবং থেকেছে নানা কারণে--অনেক আগে থেকে আজ পর্যন্ত--কখনো পড়াশোনার জন্য, কখনো চাকরিবাকরির সন্ধানে। কিংবা সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, দাঙ্গা ও দেশভাগে বিপর্যস্ত হয়ে। ভারত-পাক যুদ্ধ বা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তো ব্যাপকভাবে শুরু হল দেশত্যাগের আরেক পালা। নতুন দেশে এসেও তারা তাদের পূর্বভূমির ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনাচরণ, প্রথা, অভ্যাস ইত্যাদি বজায় রেখেছে, সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে ক্রমশ ক্ষীয়মাণ হলেও , রেখেছে। পরে এখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে মিশ্রণ, কিংবা তাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন ঘটলেও তাদের একটা আলাদা স্বভাব ও চরিত্র কমবেশি রয়ে যায়। পূর্ববঙ্গবাসীদের যদি বাঙাল বলি, যা এদেশের মানুষেরা বলে থাকে, তবে এরাই কলকাতার বাঙাল।
পা তার পোঁতা আছে তার স্বদেশ বাংলার দুই চরে। তাই দুই বাংলাই তার অভিজ্ঞতার অন্তর্গত। আর জীবনকে চলমানতায় গ্রহণ করাতেই যেহেতু মুক্তি, তাই ভ্রমণ ও তার গল্পই তার কাছে সবচেয়ে বাঞ্ছিত সুখ। মাঝে-মাঝে সব ভুলে তাতেই সমর্পণ। কাছের দুই বাংলায়, দূরের নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতার ভারতবৈচিত্র্যে।
অরুণ সেনের জন্ম ১৯৩৬ সালে। পূর্বপুরুষ পূর্ববঙ্গের হলেও তিনি আজন্ম কলকাতাবাসী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ শেষ করে কলকাতারই একটি কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনা করেন অবসরকাল পর্যন্ত।বাংলাদেশের সাহিত্যে তাঁর আগ্রহ ও চর্চার কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে বাংলাদেশ বিষয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে আমন্ত্রিত হন। সেখানকার কর্মসূত্রে বাংলা বিভাগের ওই বিষয়ের পাঠক্রম তৈরি করেন তিনিই।অরুণ সেন যে দুটি বিষয়ে অনেককাল ধরেই নিমগ্ন, তাঁর একটি বিষ্ণু দে, অপরটি বাংলাদেশ। এই দুই প্রসঙ্গে তাঁর বইয়ের সংখ্যাও বেশ কিছু। পরিচয়, সাহিত্যপত্র ও প্রতিক্ণ - এই তিনটি পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সময়ে। বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাগদ্য রচনার জন্য ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি থেকে বিদ্যাসাগর স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন।
গ্রন্থসমূহ : বিষ্ণু দে-র বাংলাদেশ, দুই বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য, বিষ্ণু দে: স্বভাবে প্রতিবাদে, দুই বাঙালি এক বাঙালি, সাহিত্যের বাংলাদেশঃ উপন্যাস কবিতা নাটক, বিষ্ণু দে জীবন ও স্মৃতি ইত্যাদি।