শেখ রফিক একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি লেখক, গবেষক এবং মুক্তিযুদ্ধের পেক্ষাপট নিয়ে তার কাজের জন্য পরিচিত। তিনি ১৯৫০ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তার সাহিত্যকর্ম বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংগ্রামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে। শেখ রফিক লেখালেখির মাধ্যমে ইতিহাস, সাহিত্যের এবং বিশেষত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নানা দিক তুলে ধরেছেন। তার কাজগুলো সাধারণ মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতি গভীর দৃষ্টি প্রদান করেছে, যা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেখ রফিকের লেখা বিভিন্ন বই বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে। তার গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোর মধ্যে রয়েছে “ক্ষুদিরাম বসু”, “আব্দুল মালিক”, “আন্দামান স্মৃতি”, “শত কমরেড”, “কমরেড অচিন্ত্য বিশ্বাস”, এবং “৭১ (দ্বিতীয় খণ্ড)”। “ক্ষুদিরাম বসু” বইটি ভারতীয় বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জীবন, তার সংগ্রাম এবং আত্মবলিদানের গল্প তুলে ধরে। “আব্দুল মালিক” বইটিতে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালি নেতা আব্দুল মালিকের জীবনযাত্রা এবং সংগ্রামের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। “আন্দামান স্মৃতি” বইটি আন্দামান দ্বীপের বন্দি শিবিরে বন্দী জীবন কাটানো বিপ্লবীদের স্মৃতিচারণ নিয়ে লেখা, যেখানে লেখক তাদের কষ্ট, সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। “শত কমরেড” বইটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কমরেডদের জীবন ও তাদের সংগ্রামকে সামনে এনেছে। “কমরেড অচিন্ত্য বিশ্বাস” বইটি এক মহান কমরেডের জীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে লেখা, যা তার সংগ্রামের কথা এবং মানুষের প্রতি তার অনুরাগ প্রকাশ করেছে। “৭১ (দ্বিতীয় খণ্ড)” বইটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে, যেখানে দ্বিতীয় খণ্ডে বিশেষভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথচলা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। শেখ রফিক তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের দিকগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। তার লেখা শুধুমাত্র ইতিহাসের কাহিনী নয়, বরং তা একটি জাতির সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।