কাজী আবদুল ওদুদ (২৬ এপ্রিল ১৮৯৪ - ১৯ মে ১৯৭০) একজন বাঙালি প্রাবন্ধিক, বিশিষ্ট সমালোচক, নাট্যকার ও জীবনীকার ছিলেন। তিনি বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার (বর্তমান রাজবাড়ী জেলার) পাংশায় একটি নিম্ন - মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ওরফে কাজী সৈয়দ হোসেন কাজী। ১৯১৩ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন । তারপর তিনি আইএ এবং বিএ পাশ করেন প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা থেকে। অর্থনীতিতে এমএ পাশ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯২৬ সালে তিনি ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি অজ্ঞতা থেকে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন কিছু তরুণ লেখকদের সঙ্গে। তার সংবাদপত্র শিখা আন্দোলনের বেগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছিল। আবুল হুসেন ও কাজী মোতাহার হোসেন এই আন্দোলনে যোগ দেন। কাজী আবদুল ওদুদ ঘনিষ্ঠভাবে বাঙালি মুসলমান সাহিত্য আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি 'শিশির কুমার পদক' লাভ করেন। তিনি কলকাতা পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এ চাকরি নেন। তারপর ১৯২০ সালে তিনি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে শিক্ষকতার জন্য প্রস্তাব দেয় কিন্তু তিনি কলকাতায় লেখার জন্য আরো সুযোগ পেয়েছেন এবং তার জীবনের বাকি সময়টুকু সেখানেই কাটান। ১৯১৬ সালে তিনি তার চাচার বড় মেয়ে জামিলা খাতুনকে বিয়ে করেন। জামিলা খাতুন ১৯৫৪ সালে মারা যান।
আবুল কাসেম ফজলুল হক ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষা লাভ করেন। তাঁর গোটা পেশাজীবন কাটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে গবেষণা ও শিক্ষকতায়। ২০১১ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লিখেছেন এবং পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালে তিনি ১৯৬০-এর দশকে ছাত্র-আন্দোলনের প্রগতিশীল ধারায় সক্রিয় ছিলেন। তিনি মনে করেন ভালো কিছু করতে হলে হুজুগ নয়, দরকার গণজাগরণ।
গ্রন্থসমূহ : মুক্তিমংগ্রাম, বাংলাদেশের প্রবন্ধ সাহিত্য, সাহিত্য চিন্তা, কালের যাত্রার ধ্বনি, সংস্কৃতি, নব যুগের প্রত্যাশায়, সংস্কৃতির সহজ কথা, রাজনীতিতে সংস্কৃতি, পদ্মাসেতু ইত্যাদি।