মধ্যযুগের প্রথম কবি বড়ু চণ্ডীদাস এবং তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের নাম 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'। এর আগে 'চর্যাপদ' ছাড়া বাংলা সাহিত্যে এরকম আর কোনো গ্রন্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি । কিন্তু 'চর্যাপদ' একক কাবগ্রস্থ নয়। চর্যাপদের পর মধ্যযুগের কবি বড় চণ্ডীদাসই তাঁর একক কাব্যগ্রন্থ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে উন্নীত ও কবিতাকে শৈল্পিক তাৎপর্যে মণ্ডিত করতে সমর্থ হয়েছেন ।
বড়ু চণ্ডীদাসের জন্মসাল নিয়ে মতভেদ অনেক বেশি। বিভিন্ন মতামত অনুযায়ী ১৩৮৬, ১৪০০, ১৪০৩ এবং ১৪১৭ সালের মধ্যে যে কোনো একটি তাঁর জন্মসাল । বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এই সালগুলোকে চিহ্নিত করেও নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি, বড় চণ্ডীদাসের প্রকৃত জন্মসাল কোনটি । আবার ঐ অঞ্চলের লোকমুখে প্রচলিত তথ্যমতে, তাঁর জন্ম ১৩২৫ থেকে ১৪১৭ সালের মধ্যে। তবে সময়, তারিখ বা সাল নির্ণয়ের চেয়েও বড়ো কথা 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর কাব্যগুণ।
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য মোট তেরো খণ্ডে বিভক্ত। সেগুলো হলো: জন্মখণ্ড, তাম্বুলখও, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ভারখণ্ড, ছত্রখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড, কালীয়দমনখণ্ড, যমুনাখণ্ড, হারখণ্ড, বাণখণ্ড, বংশীখণ্ড ও বিরহখণ্ড। এ ছাড়াও আছে 'পরিশিষ্ট অংশের পদসমূহ। বিভিন্ন খণ্ডের নাম থেকেই বোঝা যায়, রাধাকৃষ্ণকেন্দ্রিক এক একটি অবস্থাকে তুলে ধরার জন্যেই এই বিভাজন। এর প্রত্যেকটি খণ্ডই চিত্তাকর্ষক, প্রেমের আকুলতায় তীব্র এবং কাম ও গভীর অনুভূতির সারাৎসারে ব্যঞ্জনাময়।
মধ্যযুগের প্রথম কবি বড়ু চণ্ডীদাস এবং তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের নাম 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'। এর আগে 'চর্যাপদ' ছাড়া বাংলা সাহিত্যে এরকম আর কোনো গ্রন্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি । কিন্তু 'চর্যাপদ' একক কাবগ্রস্থ নয়। চর্যাপদের পর মধ্যযুগের কবি বড় চণ্ডীদাসই তাঁর একক কাব্যগ্রন্থ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষাকে মর্যাদার আসনে উন্নীত ও কবিতাকে শৈল্পিক তাৎপর্যে মণ্ডিত করতে সমর্থ হয়েছেন ।
বড়ু চণ্ডীদাসের জন্মসাল নিয়ে মতভেদ অনেক বেশি। বিভিন্ন মতামত অনুযায়ী ১৩৮৬, ১৪০০, ১৪০৩ এবং ১৪১৭ সালের মধ্যে যে কোনো একটি তাঁর জন্মসাল । বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এই সালগুলোকে চিহ্নিত করেও নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি, বড় চণ্ডীদাসের প্রকৃত জন্মসাল কোনটি । আবার ঐ অঞ্চলের লোকমুখে প্রচলিত তথ্যমতে, তাঁর জন্ম ১৩২৫ থেকে ১৪১৭ সালের মধ্যে। তবে সময়, তারিখ বা সাল নির্ণয়ের চেয়েও বড়ো কথা 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'-এর কাব্যগুণ।
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য মোট তেরো খণ্ডে বিভক্ত। সেগুলো হলো: জন্মখণ্ড, তাম্বুলখও, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ভারখণ্ড, ছত্রখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড, কালীয়দমনখণ্ড, যমুনাখণ্ড, হারখণ্ড, বাণখণ্ড, বংশীখণ্ড ও বিরহখণ্ড। এ ছাড়াও আছে 'পরিশিষ্ট অংশের পদসমূহ। বিভিন্ন খণ্ডের নাম থেকেই বোঝা যায়, রাধাকৃষ্ণকেন্দ্রিক এক একটি অবস্থাকে তুলে ধরার জন্যেই এই বিভাজন। এর প্রত্যেকটি খণ্ডই চিত্তাকর্ষক, প্রেমের আকুলতায় তীব্র এবং কাম ও গভীর অনুভূতির সারাৎসারে ব্যঞ্জনাময়।
কবি অসীম সাহার জন্ম নেত্রকোনা শহরে মামাবাড়িতে। তার বাবা প্রয়াত অখিল বন্ধু সাহা, মা প্রয়াত প্রভা রানী সাহা। তাঁর পিতপুরুষের ভিটে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওতা গ্রামে।তবে পিতার চাকরির সূত্রে মাদারীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু। সেখানেই বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৫টি । লেখালেখির পাশাপশি তিনি দেশের মূলধারার পত্রিকাসমূহে সাংবাদিকতাও করে আসছেন। শিল্পের সাধনায় নিবেদিতপ্রাণ এই কবি-শিল্পী এ-পর্যন্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্যপুরস্কার, আলাওল সাহিত্যপুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পুরস্কার, রূপসী বাংলা পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ), কোলকাতা আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার, কবিতালাপ পুরস্কার এবং আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্যপুরস্কার, বঙ্গবন্ধু স্মারক-পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা ও টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক।
গ্রন্থসমূহ : লেখালেখির এলোমেলো নামতাপাঠ, বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, প্রগতিশীল সাহিত্যের ধারা, সংস্কৃতি রূপে অরূপে, কিলের চোটে কাঁঠাল পাকে, অন্ধকারে মৃত্যুর উৎসব, শ্মশান ঘাটের মাটি ইত্যাদি।