উজানবাঁশি

Price:

562.50 ৳



একদিন সবাই মিলে
একদিন সবাই মিলে
60.00 ৳
80.00 ৳ (25% OFF)
টাইম ম্যানেজমেন্ট
টাইম ম্যানেজমেন্ট
150.00 ৳
200.00 ৳ (25% OFF)

উজানবাঁশি

কথাশিল্পী স্বকৃত নোমানের নতুন উপন্যাস ‘উজানবাঁশি’ পাওয়া যাচ্ছে বাতিঘর-এর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট শাখায়। বাস্তবতা ও কুহকের মিশেলে বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের সমাজ ও রাজনীতি, রক্ষণশীলতা ও উদারপন্থা, জ্ঞান ও নির্জ্ঞান এবং বহুমাত্রিক সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব নিয়ে রচিত এক অসাধারণ উপন্যাস। ৪১৬ পৃষ্ঠার এই উপন্যাস স্বকৃত নোমানের শিল্পযাত্রার এক অনন্য স্মারক, শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম; যেখানে তিনি করেছেন সৃজনশক্তির জাদুকরি প্রয়োগ, সৃষ্টি করেছেন শব্দের এক মায়াবী জগৎ। ~~উপন্যাসটি নিয়ে কিছু কথা~~ চল্লিশ বছর পর বাঘের পেট থেকে বেরিয়ে আসে এক ন্যাংটা মানুষ। পৌষের কুয়াশাঢাকা হিমভোরে প্রথম তাকে দেখা যায় নয়নচরে। পায়ের কাছে সাপ নিয়ে বসে থাকে, ব্যাঙের মতো জলের ওপর হাঁটতে পারে, ঈগলপাখির ঠ্যাং ধরে উড়তে পারে। ধীরে ধীরে বাঘামামা নামে সে হয়ে ওঠে প্রণম্য। বদলে দেয় নীলাক্ষি-তীরের জনপদের সংস্কৃতি। তার অলৌকিক কর্মকাণ্ডের কথা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মৃত্যুর পর তার সমাধিক্ষেত্রে ওঠে মাজার। প্রতি বছর ওরস হয়। বাংলাদেশ-ভারত থেকে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ আসে। প্রসাদ হিসেবে খায় খিচুড়ি-মাংস। বাঘামামা বদলে দেয় নীলাক্ষি-তীরের জনপদের সংস্কৃতি। স্বকৃত নোমানের সর্ববৃহৎ এই উপন্যাসে বাঘামামার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আরও অনেক চরিত্র। যেমন উজানগাঁর ভূস্বামী অনাদি দত্ত, দেখতে যিনি অবিকল রবীন্দ্রনাথ, যিনি রবীন্দ্রনাথের মতোই আলখাল্লা পরেন, রবীন্দ্রনাথের মতোই মাথার চুল, মুখের দাঁড়িগোফ। কিংবা মাওলানা আবদুল কয়েদ, যিনি উজানগাঁর সর্বজন মান্য ব্যক্তিত্ব। বাঘামামাকে নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মানুষ কি চল্লিশ বছর বাঘের পেটে থাকতে পারে? ধীরে ধীরে তিনি শরিয়তপন্থা থেকে উত্তীর্ণ হন মারেফত তথা আধ্যাত্মিকতায়। একদিন মাটি খুঁড়তে গিয়ে আবিষ্কার করেন একটি শিলাখণ্ড, যেখানে লেখা গীতার শ্লোক : ‘ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে।’ অর্থ্যাৎ, এই জগতে চিন্ময় জ্ঞানের মতো পবিত্র আর কিছু নেই। তার পুত্র মোহন রেজা, যার গায়ে ভেসে বেড়ায় বুনো কলমির ঘ্রাণ, ঘুমে-জাগরণে যে শুনতে পায় হট্টিটি পাখির ডাক, শিলালিপির বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুরু করে জ্ঞান অন্বেষণ। কিন্তু বাঘামামা বলেন, ‘জ্ঞান হলো দূষণ। জ্ঞান ত্যাগ করো। নির্মল হও, বিশুদ্ধ হও।’ আরও আছে অন্ধ বাঁশিওয়ালা শেকা। ভরা পূর্ণিমা রাতে মানুষ, পশুপাখি আর কীটপতঙ্গরা জেগে থাকে তার বাঁশির সুরে। ময়ূরমুখো নৌকায় চড়ে নীলাক্ষির ঘাটে ঘাটে গল্পের আসর জমিয়ে তোলেন রহস্যপুরুষ মোখেরাজ খান। দত্তপরিবার দেশান্তরী হওয়ার পর নিশিমহলে শুরু হয় সাপের বসতি। সেই কবে নীলাক্ষির কুমে ডুবে যাওয়া অনাদি দত্ত আলখাল্লা পরে ঘুরে বেড়ান পথে-প্রান্তরে, দেখা দেন মানুষের স্বপ্নে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে সুড়ঙ্গ পথ ধরে কি বায়ুবেলুনে চড়ে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক কুতুব বকশি।
https://baatighar.com/web/image/product.template/23620/image_1920?unique=41e9449
(0 review)

কথাশিল্পী স্বকৃত নোমানের নতুন উপন্যাস ‘উজানবাঁশি’ পাওয়া যাচ্ছে বাতিঘর-এর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট শাখায়। বাস্তবতা ও কুহকের মিশেলে বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের সমাজ ও রাজনীতি, রক্ষণশীলতা ও উদারপন্থা, জ্ঞান ও নির্জ্ঞান এবং বহুমাত্রিক সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব নিয়ে রচিত এক অসাধারণ উপন্যাস। ৪১৬ পৃষ্ঠার এই উপন্যাস স্বকৃত নোমানের শিল্পযাত্রার এক অনন্য স্মারক, শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম; যেখানে তিনি করেছেন সৃজনশক্তির জাদুকরি প্রয়োগ, সৃষ্টি করেছেন শব্দের এক মায়াবী জগৎ।

~~উপন্যাসটি নিয়ে কিছু কথা~~
চল্লিশ বছর পর বাঘের পেট থেকে বেরিয়ে আসে এক ন্যাংটা মানুষ। পৌষের কুয়াশাঢাকা হিমভোরে প্রথম তাকে দেখা যায় নয়নচরে। পায়ের কাছে সাপ নিয়ে বসে থাকে, ব্যাঙের মতো জলের ওপর হাঁটতে পারে, ঈগলপাখির ঠ্যাং ধরে উড়তে পারে। ধীরে ধীরে বাঘামামা নামে সে হয়ে ওঠে প্রণম্য। বদলে দেয় নীলাক্ষি-তীরের জনপদের সংস্কৃতি। তার অলৌকিক কর্মকাণ্ডের কথা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মৃত্যুর পর তার সমাধিক্ষেত্রে ওঠে মাজার। প্রতি বছর ওরস হয়। বাংলাদেশ-ভারত থেকে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ আসে। প্রসাদ হিসেবে খায় খিচুড়ি-মাংস। বাঘামামা বদলে দেয় নীলাক্ষি-তীরের জনপদের সংস্কৃতি।
স্বকৃত নোমানের সর্ববৃহৎ এই উপন্যাসে বাঘামামার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আরও অনেক চরিত্র। যেমন উজানগাঁর ভূস্বামী অনাদি দত্ত, দেখতে যিনি অবিকল রবীন্দ্রনাথ, যিনি রবীন্দ্রনাথের মতোই আলখাল্লা পরেন, রবীন্দ্রনাথের মতোই মাথার চুল, মুখের দাঁড়িগোফ। কিংবা মাওলানা আবদুল কয়েদ, যিনি উজানগাঁর সর্বজন মান্য ব্যক্তিত্ব। বাঘামামাকে নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মানুষ কি চল্লিশ বছর বাঘের পেটে থাকতে পারে? ধীরে ধীরে তিনি শরিয়তপন্থা থেকে উত্তীর্ণ হন মারেফত তথা আধ্যাত্মিকতায়। একদিন মাটি খুঁড়তে গিয়ে আবিষ্কার করেন একটি শিলাখণ্ড, যেখানে লেখা গীতার শ্লোক : ‘ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে।’ অর্থ্যাৎ, এই জগতে চিন্ময় জ্ঞানের মতো পবিত্র আর কিছু নেই। তার পুত্র মোহন রেজা, যার গায়ে ভেসে বেড়ায় বুনো কলমির ঘ্রাণ, ঘুমে-জাগরণে যে শুনতে পায় হট্টিটি পাখির ডাক, শিলালিপির বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুরু করে জ্ঞান অন্বেষণ। কিন্তু বাঘামামা বলেন, ‘জ্ঞান হলো দূষণ। জ্ঞান ত্যাগ করো। নির্মল হও, বিশুদ্ধ হও।’
আরও আছে অন্ধ বাঁশিওয়ালা শেকা। ভরা পূর্ণিমা রাতে মানুষ, পশুপাখি আর কীটপতঙ্গরা জেগে থাকে তার বাঁশির সুরে। ময়ূরমুখো নৌকায় চড়ে নীলাক্ষির ঘাটে ঘাটে গল্পের আসর জমিয়ে তোলেন রহস্যপুরুষ মোখেরাজ খান। দত্তপরিবার দেশান্তরী হওয়ার পর নিশিমহলে শুরু হয় সাপের বসতি। সেই কবে নীলাক্ষির কুমে ডুবে যাওয়া অনাদি দত্ত আলখাল্লা পরে ঘুরে বেড়ান পথে-প্রান্তরে, দেখা দেন মানুষের স্বপ্নে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে সুড়ঙ্গ পথ ধরে কি বায়ুবেলুনে চড়ে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক কুতুব বকশি।




562.50 ৳ 562.5 BDT 750.00 ৳

750.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Stock Availability
অনলাইন Available
ঢাকা শাখা Available
সিলেট শাখা Available
চট্টগ্রাম শাখা Out of Stock
রাজশাহী শাখা Available

Share :
100% original guarantee
Return within 30days
Free delivery on all orders

Writer

স্বকৃত নোমান

Publisher

পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.

ISBN

9789846345476

Language

Bengali / বাংলা

Country

Bangladesh

Format

Hardcover

Pages

426

স্বকৃত নোমান

স্বকৃত নোমান স্বকৃত নোমান বাংলা ভাষার কথাশিল্পী। জন্ম ১৯৮০ সালের ৮ নভেম্বর, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়ায়। জ্ঞানার্জন ও লেখালেখিকে জীবনের প্রধান কাজ বলে মনে করেন। প্রকাশিত উপন্যাস : রাজনটী, বেগানা, হীরকডানা, কালকেউটের সুখ, শেষ জাহাজের আদমেরা, মায়ামুকুট। গল্পগ্রন্থ : নিশিরঙ্গিনী, বালিহাঁসের ডাক, ইবিকাসের বংশধর, বানিয়াশাšত্মার মেয়ে। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে আরও বই। এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল হুমায়ূন আহমেদ তরম্নণ সাহিত্যিক পুরস্কার, এঙ্মি ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কারসহ ভূষিত হয়েছেন নানা সম্মাননায়। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত। মেইল : [email protected]